তীব্র শীতে কাবু হাওরবাসী বাড়ছে ঠান্ডাবাহিত রোগীর সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক দিরাই শাল্লা ডটকম ঃ-হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জে গত তিন দিনের চলমান শৈতবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদরে জবুথবু অবস্থা হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা। কনকনে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে ছেলে-বুড়ো সবাই। ভোগান্তিতে আছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যে কোথাও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন । হতদরিদ্র লোকজন প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজের সন্ধানে যেতে পারছে না। বোরো ধান রুপনের ভরা মৌসুমে কৃষি কাজে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক হাওরে কাজে নামতে পারছেননা। ফলে কষ্টে দিন যাপন করছে পরিবার পরিজন। হাওরপারের কৃষকরা বলছেন, এই শীতে মাঠে কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠান্ডাবাহিত রোগীর সংখ্যা।
হাওরপারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় খরকুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, তিন দিন ধরে শীত অতিরিক্ত। বাতাসের কারণে প্রচুর শীত লাগছে,শীতের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেক জায়গায়। গবাদি পশু ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে বিপাকে আছেন চাষীরা। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ছিন্নমূল বাসিন্দা ও ভিক্ষুকেরা শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন বাজারের গরম কাপড়ের দোকানে ভীর করছেন হাওরপাড়ের নারী পুরুষেরা। তাই সরকারি ও বেসরকারীভাবে ব্যাপকহারে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ইতোমধ্যে দেশ বিদেশে থাকা বিত্তশালী লোকজন নিজ নিজ উদ্যোগ ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে অনেক জায়গায় শীতবস্ত্র বিতরন করতে দেখা গেছে। দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, সরকারীভাবে কিছু শীতের কম্বল বিতরন করা হয়েছে। শীতেকাবু হাওরবাসীর পাশে দাঁড়ারে সরকারের পাশাপাশি এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে অনুরুধ জানান তিনি।