দিরাইয়ের  এক পরিবারের ৪ সদস্যসহ ওসমানীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

সিলেটের ওসমানীনগর থানা এলাকায় ঢাকা-সিলেটের মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে সিলেটগামী একটি প্রাইভেটকার ও কুমিল্লাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মাঝে ১জন নারী ৪জন পুরুষ। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের স্স্বপন কুমার দাস, তাঁর স্ত্রী লাভলী রানী দাস ও জমজ দুই ছেলে শৈবাল দাস, সৌমিত্র দাস (৮)। প্রাইভেটকারের গাড়ি চালক হাশেম। কারচালক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাদের আরেক সন্তান সৌরভ দাসকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং নিহতদেরও ওসমানী হাসাপাতালে রাখা হয়েছে।

সিলেট হাইওয়ে পুলিশের ওসি মায়নুল ইসলাম জানান- ‘তাজপুর এলাকার তানপুর নামক স্থানে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট থেকে কুমিল্লামুখি ‘কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট’র একটি বাস ও শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট অভিমুখে যাত্রা করা একটি প্রাইভেট কারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রাইভেট কারের অর্ধেকটাই বাসের সামনের দিকে নিচে ঢুকে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত একজনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেট কার ও বাসের সামনের অংশ কেটে মৃতদের বের করে নিয়ে আসেন।
সিলেটের ওসমানীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহতের ঘটনায় শোকের মাতম বইছে নিহত স্বপন কুমা দাসের বাড়িতে। স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে আসছে। ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার বদলে কোথায় গেলা, আমাদের ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি চলে গেলা’ ইত্যাদি বলে বিলাপ করছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর (বাগহাটি) গ্রামে হরিধন দাসের ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্বপন কুমার দাসের বাড়িতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবারের লোকদের শান্তনা দিতে আশপাশের বাসিন্দারা জড় হলেও সকলের মাঝেই যেন শোক। স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো এলাকা। হঠাত করে একটি দুর্ঘটনায় যেন পুরো এলাকাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।