বাবা ও ২ চাচা রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি

বিশেষ প্রতিবেদকঃ (দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর থেকে সংগৃহিত)

দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ৩ দিনের রিমােন্ডে নেওয়া তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির এবং জমশেদ মিয়াকে রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এরা কেউই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় নি। আদালত এই তিনজনকেই জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আশেক সুজা মামুন।কোর্ট ইন্সপেক্টর আশেক সুজা মামুন জানিয়েছেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরসহ দুই চাচা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয় নি। তবে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাই করছেন বলে জানান তিনি।এদিকে, সিলেটের ডিআইজি কামরুল হাসান শুক্রবার বিকালে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের
কেজাউরা গ্রামে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন।গ্রামের মানুষকে আশ্বস্ত করে ডিআইজি কামরুল হাসান বলেছেন, এই মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দ্রুত দাখিল করা হবে। এসময় এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়তুননবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ডিআইজি কামরুল হাসান গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এ ধরণের ঘটনার যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা হবে। গ্রামবাসীকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি নিহত শিশু তুহিনের বাড়িতেও যান, তবে ওখানে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায় নি।প্রসঙ্গত. রোববার রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন কে নির্মমভাবে গলা, কান, লিঙ্গ কেটে হত্যা করা হয়। খুনিরা তুহিনের পেটে ছুড়া ঢুকিয়ে বাড়ির পাশে কদম গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ওই দিনই দুপুরে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের চাচী ও চাচাতো ভাই মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে শাহারিয়া এবং চাচাতো বোনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের তিন সদস্য হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পায় পুলিশ।