শাল্লায় হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শাল্লায় হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ। হাওরের ফসররক্ষা বাঁধের কাজ গত বছরের চেয়ে এবছর আরো খারাপ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০জানুয়ারী) জেলার শাল্লা উপজেলার কালিকোটা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে কাজের নিম্নগতি ও নিম্নমান দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ওই হাওরের ৫৬, ৫৭, ৫৮ ও ৫৯ নং পিআইসির কাজ পরিদর্শন কালে ৫৯নং পিআইসি’র সভাপতি ছাড়া প্রকল্প সাইটে দেখতে পাননি কোনো
পিআইসি’র লোকজনদের। ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে কোনো ভাবেই গাফিলতি করা যাবেনা। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রি’র চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। আপনারা যারা পিআইসি হয়েছেন তারা ভালোভাবে কাজ করেন। বাঁধের মাটি ভালো করে দুর্মুজ করেন, ইষ্টিমেট মোতাবেক স্লোভ দেন, বাঁধের ৩০মিটার দূর থেকে থেকে মাটি কাটেন, ঘাষ ও ঢোল-কলমী লাগান। আপনারা হতাশ হয়ে তাড়াহুড়ো করে বাঁধের কাজ দূর্বল করবেন না।

হাওরের বাঁধ পরিদর্শন শেষে উপজেলা
গণমিলনায়তনে পিআইসি’র সভাপতি ও সদস্য সচিবদের সাথে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ওইসব কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ। এছাড়াও তিনি তদারকি টীমের
সকল সদস্যবৃন্দকে বাঁধের সার্বক্ষণিক ভিডিও চিত্র ধারণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদের পরিচালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান অমিতা রাণী দাশ, অ্যাড. দিপু রঞ্জন দাশ বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মাহমুদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ, মাহমুদ
হোসেন, মোঃ আল আমিন, রিফাতুল হক, শোভন রাংসা, সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম,
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইফতেখার হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান, বিভিন্ন
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অধিকাংশ পিআইসি সভাপতি ও তদারকি টীমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সাতটি ভাগে বিভক্ত হয়ে উপজেলার সবকটি হাওরের ফসলরক্ষা
বাঁধ পরিদর্শন করেন।