শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজে অনিয়ম!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণে বিনা রশিদে টাকা আদায় করা হয়েছে। এনিয়ে অনেক শিক্ষার্থী-অভিবাবকরা প্রকাশ্যে কথা না বললেও নিরবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বিকার শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ  বলেন, কেন্দ্র ফ্রি হিসেবে নেওয়া হয় এই টাকা। আমরা প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেই। এটা প্রত্যাক পরীর্ক্ষীকে দিতে হয়।’ এসময় তিনি এবছর একটু বেশী নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।

তবে প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা আদায়ে কোন নিয়ম নেই বলে জানা গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল এর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে।

গেল ২৪ নভেম্বর থেকে সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের ডিগ্রি পাস প্রথমবর্ষে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

কলেজ সূত্র জানায়, ডিগ্রি ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি পরীক্ষায় এবার এই কলেজ থেকে ২১৪ জন পরীক্ষায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। আর ৫০০ টাকা করে ১৬১ জন ছাত্র প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এ টাকার গ্রহনের কোন রশিদ দেওয়া হয়নি।

কলেজের অফিস সহকারী দিলিপ বড়ুয়া বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে আমরা এই টাকা নিয়েছি।’

একধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যাপারে অনেক পরীক্ষার্থীরা অপরগতা শিকার করে। তবুও কলেজ কতৃপক্ষের চাপে বিনা রশিদেই শেষ পর্যন্ত সবাইকে টাকা দিতে হয়েছে। এনিয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিবাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট করেন। এরআগে এই বিষয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিবাবকের সঙ্গে কলেজ কতৃপক্ষের বাকবিদন্ডিতাও হয়েছে।

এনিয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার রাতে শাল্লা উপজেলিা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মুক্তাদির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগোযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেট আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক ইব্ররাহীম খলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। কলেজ কতৃপক্ষ কি বাবদ টাকা নিচ্ছে সে ব্যাপারটি আমার জানা নেই। কোন অভিবাবক বা শিক্ষার্থী অভিযোগ জানালে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।।’