ফসলরক্ষা বাঁধে পিআইসি কমিটি গঠিত না হওয়ায় কৃষকদের ক্ষোভ

বিশেষ প্রতিনিধি::

জেলার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে পিআইসি কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গঠিত হয়নি। বরাবরের মতো বিলম্বে কাজ শুরু ও শেষ করার মানসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাউবো কর্তৃপক্ষের।

এ নিয়ে হাওর পাড়ের কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের দাবী এ সপ্তাহের মধ্যে গণশুনানী করে প্রকৃত কৃষকদের দিয়ে কমিটি গঠন করে ফসল রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। জানা যায়, ২০১৭ সালে হাওরে ফসলডুবির পর ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে প্রকৃত কৃষককে দিয়ে গণশুনানী করে পিআইসি গঠনের নীতিমালা জারি করা হয়।

গেল দুই বছর পিআইসি কমিটি গঠনে দেখা গেছে আত্মীয়করণ, দলীয়করণ করার অভিযোগ ছিল। এবং তাতে লুঠপাটের উৎসব হয়েছে অনেক। কৃষকরা বলছে দেরিতে কাজ শুরু হলে বন্যার পানি এসে বাঁধ দুর্বল করে দেবে । তখন মাটির হিসাব মেলানো জটিল হয়ে দাঁড়াবে। এমন অংঙ্কে বরাদ্দের টাকা নয় ছয় হয়ে যেতে পারে।

জেলার ছোট বড় ৩৭ টি হাওরে খবর নিয়ে জানা গেছে বেশিরভাগ হাওরে এখন সার্ভে কাজ চলছে। পিআইসি কমিটি গঠিত হয়নি। এবং বাঁধ নিমাণে মন্ত্রনালয় ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জরিপ, প্রাক্কলণ তৈরি ও পিআইসি কমিটি গঠনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা।

১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। শাল্লার ছায়ার হাওরের কৃষক আনিছুল হক মুন জানান, নীতিমালা অনুযায়ী পিআইসি কমিটি হবে বাঁধের পাশের প্রকৃত জমির মালিকদের দিয়ে। এবং সেটি গণশুনানি করে করার কথা রয়েছে। এ দৃশ্য গেলবার যেমন দেখা যায়নি এবারও পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। বানিজ্যিক লাভের আশায় এসব পিআইসি কমিটি গঠিত হওয়ায় কৃষকদের স্বার্থকেই জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সালেহিন শুভ বলেন হাওরে এখনও সার্ভে কাজ চলছে।

৩০ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও সেটি হয়নি। সময় মতো বাঁধ নির্মাণ কাজ, কমিটি গঠিত না হলে আগাম বন্যার পানির ধাক্কায় বাঁধ দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে ফসলডুবির আশংকা রয়েছে। আমাদের দাবী এ সপ্তাহের মধ্যে গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি কমিটি করে বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী ২ শফিকুল ইসলাম জানান, এ জেলায় আমি নতুন এসেছি। যতটুকু জানলাম পানি দেরিতে নামায় সার্ভে কাজ দেরিতে হয়েছে। আশাবাদি এ সপ্তাহের মধ্যে পিআইসি কমিটি করে বাঁধের কাজ শুরু করতে পারব।