মাসুক-জাকির’র হাতে সিলেট মহানগর আ.লীগের নেতৃত্ব

দিশা ডেস্ক :: সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছেন মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক জাকির। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪:১৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি মহানগরের সভাপতি পদে মাসুক উদ্দিন আহমেদকে ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক জাকিরের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য শীর্ষ দুই পদের ৩২ প্রার্থীকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলে তারা বিষয়টি নেত্রীর উপর ছেড়ে দেন। পরে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় প্রধানের সাথে পরামর্শ করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের চার পদের ৩৫ প্রত্যাশীকে সমঝোতায় পৌঁছাতে ২০ মিনিট সময় বেঁধে দেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদেরের আগে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এর আগে বেলা ১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি। বাংলার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তারের স্মৃতির প্রতি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে বলেও যোগ করেন কাদের। ঐতিহ্যের সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেলে তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়বো।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান প্রমুখ।