১০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা

রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম-বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব।

তুরাগ নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল ও সামিয়ানা তৈরির কাজের উদ্ধোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। গতবারের ন্যায় এবারও প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়ের পন্থী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করবে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে। তবে এবার ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে না।

গাজীপুর মট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, দু’ই পর্বের ইজতেমা সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ইতিপূর্বে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হত। এবার ময়দানে জোড় ইজতেমা করা যাবে না। এছাড়া গতবারের ন্যায় এববারও জোবায়ের ও সা’দ অনুসারীরা দুই পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী সকলের কাছে বিশৃঙ্খলা না করার অনুরোধ জানিয়ে আরো বলেন, আল্লাহর ইবাদত করতে এসে আমরা কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবো না। আমরা এমন কাজ করবো না যাতে সাধারণ মুসল্লি তাবলীগের সাথীদের নিয়ে সমালোচনা করে। যেই উদ্দ্যেশে ময়দানে আসব, সেই কাজ শেষে ময়দান ত্যাগ করব।