আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ! ছেলে তুহিনকে কে হত্যা করেছে, জানেন না মা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ;

 

সুনামগঞ্জে নৃশংস কায়দায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার আদালতে তুহিনের মা মনিরা বেগমসহ পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে ৭ জানুয়ারি আদালতে তুহিনের বাবা ও তিন চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। একই মামলায় তুহিনের অপ্রাপ্তবয়স্ক চাচাতো ভাইয়ের বিচার হচ্ছে শিশু আদালতে।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদারের আদালতে আজ সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী তুহিনের মা মনিরা বেগম, কেজাউড়া গ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ তালুকদার, শাহজাহান মিয়া, নুর উদ্দিন ও হারুন মিয়া। অন্য আসামিরা আগামী ১৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেবেন।

আদালতে তুহিনের মা মনিরা বেগম বলেন, গত ১৩ অক্টোবর রাতে তুহিন তার বাবা আবদুল বাছিরের সঙ্গে একই খাটে ঘুমিয়ে ছিল। তিনি ছিলেন পাশের কক্ষে। গভীর রাতে তুহিনের চাঁচাতো বোন তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, ঘরের দরজা খোলা। তখন তিনি দেখেন তুহিনের বাবার পাশে তুহিন নেই। পরে সকালে জানতে পারেন যে তুহিনকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। কে বা কারা তুহিনকে হত্যার করেছে, তিনি তা জানেন না।

গত ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ঢালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইকে করে। পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি।

আজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুন্নাহার বেগম শাহানা। আসামিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী।