দিরাইয়ে ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

 

দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইিয়ের চাপতির হাওরের ডোবা থেকে আলী হামজা নামের (৮) এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উপজেলার জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় নূরানী মডেল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে বাড়ি থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে হাওরের ধান ক্ষেতের ভিতর থাকা ডোবার কাদা পানিতে ছোট শিশুর মরদেহ নিয়ে সন্দেহ হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মৃত আলী হামজার পাশের বাড়ির মুজাহিদ (১৪) নামে এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলী হামজা গত শনিবার তারাবির নামাজে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। নামাজ শেষে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীসহ গ্রামের লোকজন চারদিকে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন পাশের বাড়ির আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজাহিদকেও পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে এলাকায় জানানো হয়। এলাকার লোকজন রাতেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে গিয়ে রাত বারটার পরে বাড়ির পশ্চিমে হাওরের ধান ক্ষেতের পাশে ভেজা কাপড় পরা অবস্থায় মুজাহিদকে পাওয়া গেলেও আলী হামজার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
জগদল ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশীদ লাবলু বলেন, বিষয়টি শনিবার দিরাই থানাকে অবগত করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আনোয়ার মিয়ার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে চাপতির হাওরের ডোবায় একটি শিশুর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাদামাখা অবস্থায় শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধা করে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য মুজাহিদ নামের এক কিশোরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।