দিরাইয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস আর নেই,জানাযায় শোকাহত জনতার ঢল

দিরাইয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস আর নেই,জানাযায় শোকাহত জনতার ঢল।
দিরাই প্রতিনিধি ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বিকেল পাঁচটা য় চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুসের গ্রামের বাড়ি উপজেলার সন্তোষপুর মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভগ্নিপতি তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা ইদ্রিস আলী। এলাকায় সুপরিচিত রাজনৈতিক ও শালিসি ব্যক্তিত্ব আব্দুল কুদ্দুস বিগত পাঁচ বছর তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক লোক জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজের পূর্বে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের কর্মময় জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া,তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদার, বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমেদ, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু, জগদল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক হোসেন মঞ্জু, দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে মহসিন হোসেন রাজিব।
এদিকে তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কদ্দুসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমান, দিরাই শাল্লা আসনের সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরী,দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী প্রমূখ। উল্লেখ্য আব্দুল কদ্দুস চেয়ারম্যান ২০১৬ সালের নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।তার একান্ত প্রচেষ্টার বিনিময়ে তাড়ল ও সরমঙ্গল ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকার ১০/১২ টি গ্রামের জনসাধারণের সুবিধাজনক স্থানে একটি বাজার স্থাপন করেন। এলাকাবাসী তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাজারটির নামকরণ করা হয় টেলিফোন বাজার। বাজারটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুসের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন টেলিফোন বাজার কমিটি।