দিরাই -শাল্লার নামের আগে অবহেলিত শব্দটি মুছে দিতে চান তানভীর তুলি

 

দিরাই প্রতিনিধি ঃ-আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিরাই শাল্লা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লীডার ও এস এস এফ এর ডেপুটি ডিরেক্টর তানভীর চৌধুরী তুলি বলেছেন স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমাদের এলাকায় ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন হয়নি।দিরাই শাল্লা আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্জয় ঘাটি।এখানকার অনেক বড় বড় নেতা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন,যাদেরকে সারা বাংলাদেশের মানুষ চিনে জানে।কিন্তু কোন এক অজানা কারনে এই এলাকায় ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। আমরা ইচ্ছে করলেও শাল্লা উপজেলায় গাড়ি চড়ে যেতে পারিনি। স্বাধীনতার ৫২ বছরের পরও আমাদের দিরাই শাল্লা এলাকাটির নামের আগে এখনো অবহেলিত লেখা হয়।যা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।আমি নির্বাচিত হলে চেষ্টা করবো এলাকার ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে। এই স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়ে এলাকায় এসেছি। আমি দিরাই শাল্লার নামের আগের অবহেলিত শব্দটি মুছে দিতেই চাই। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে আগামী সংসদ নির্বাচনে দিরাই শাল্লা আসনে আমাকে মনোনয়ন দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে এলাকায় এসে কাজ করতে বলেছেন। সোমবার বিকেল তিনটায় থানা পয়েন্টস্থ জালাল সিটি সেন্টারের কন্ফারেন্স হলে দিরাই প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়ার সন্তান তানভীর তুলি নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিবারের ছেলে দাবী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।মতবিনিময়কালে দিরাই প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিরাই তার নিকটাত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল চৌধুরী,জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম, ভাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সিরাজ,ইউনিয়ন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি কাজী আবু তালেব। এর আগে দুপুর ১২ টা তিনি মটর সাইকেল বহর নিয়ে দিরাই উপজেলা সদরে পৌঁছে বাজার প্রদক্ষিণ করে ব্যক্তিগত পরিচিতি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করে।সাড়ে ১২ টা থেকে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে দুই ঘন্টাব্যাপী এক রুদ্ধদার বৈঠক করেন।বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি ( ভারপ্রাপ্ত) এডভোকেট সোহেল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় সহ অংগ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।