মুজিববর্ষে ‘হাওর উৎসব’, থাকবেন দুইমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
প্রথমবারের মতো সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাওর উৎসব। এই উৎসব মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আগামী ৫ ও ৬ মার্চ উপজেলার শাল্লা গ্রামে ‘শাল্লা সমিতি ঢাকা’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মুজিববর্ষে হাওর উৎসব ২০২০’। পুরো উৎসবে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ডিএসপি।
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার  সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি প্রধান) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম চৌধুরীসহ সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, জাতীয় ও জেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুদিনব্যাপি এই উৎসবটি হবে স্মরণকালে বৃহত্তর হাওর এলাকার বৃহত্তম উৎসব। থাকবে নানা বর্ণিল আয়োজন। উদ্বোধনী ও সমাপনী বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও মুজিববর্ষ উদযাপন আয়োজনে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপন, ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ফানুস উড্ডয়ন।
উৎসবে আরও থাকবে গ্রামীণ বারোয়ারি মেলা, কৃষি ও গৃহস্থালী উপকরণ প্রদর্শনী, গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, পুতুল নাচ ইত্যাদি।।
উৎসবে দুদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজনে স্থানীয় লোক শিল্পীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করবেন জাতীয় পর্যায়ের নন্দিত সিনেমা-টেলিভিশন অভিনয় শিল্পী এবং সংগীত শিল্পীগণ।
এছাড়াও থাকবে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ সহ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচি। পাশাপাশি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে।
উৎসবে আগত পর্যটকদের জন্য নদী ভ্রমণ, মাছ ধরা বিলের তীরে তাবুবাস ক্যাম্পফায়ারের মত বিভিন্ন রোমাঞ্চকর আয়োজন করা হবে। সাইক্লিস্ট ও বাইকারদের দুটি দল ঢাকা থেকে র‌্যালী করে সামিল হবেন এই আয়োজনে।
এ ব্যাপারে শাল্লা সমিতি ঢাকা’র সভাপতি রুবেল শঙ্কর বলেন ‘ মুজিববর্ষে অনেক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে কিন্তু বৃহত্তর হাওর অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য কোন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা আছে বলে আমরা শুনিনি। আয়োজনটি শাল্লা সমিতির হলেও বা উৎসবটি শাল্লায় হলেও মুলত বৃহত্তর হাওরবাসীর কথা চিন্তা করেই এটির পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং আয়োজনের অনেকাংশ জুড়েই থাকবে হাওরের মাটি ওমানুষের কৃষি-পরিবেশ-ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সমন্বিত উপস্থাপন। হাওরের মানুষ নিজেদের মত করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সামিল হবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে। হাওর অন্চলের দুইজন সম্মানীত মন্ত্রী এবং সুনামগঞ্জ জেলার সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উপস্থিতি মুজিববর্ষে হাওর উৎসবকে আলোকিত ও সাফল্যমন্ডিত করে তুলবে।’
 হাওর উৎসবকে সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন সংগঠনের সভাপতি রুবেল শংকর ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ  আল- আমিন।