শাল্লার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত

পিসি দাশ, শাল্লা
শাল্লায় বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদী-হাওরের পানি। রবিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নতুন নতুন পাড়া, স্কুল, কলেজ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানে ঢল এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো যদি বৃষ্টি হয় তাহলে পানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বাঁধ উপচে শাল্লা উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়সহ অনেক গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। পানিবন্দি হয়ে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাহাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, যাত্রাপুর, সুখলাইন নয়াহাটি, আনন্দপুর নতুনহাটি, রূপসা, নাছিরপুর, নওয়াগাও, বড়গাঁও নতুনহাটি, পুটকা, খলাপাড়া, গোবিন্দপুর, মনুয়া নতুনপাড়া শান্তিপুর, মুক্তারপুর, আঙ্গারুয়া, হরিনগরসহ বিভিন্ন গ্রাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। যেসব গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে, সেখানকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।