শাল্লার সেই ঝুমন দাস আবারো গ্রেফতার,পুলিশি নিরাপত্তায় নোয়াগাও

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিশা ডটকম ঃ– আদালতের নিষেধ থাকার পরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুকে) উসকানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লার সেই ঝুমন দাসকে আবারও গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ । বিষয়টি রাত দেড়টায় দৈনিক দিরাই শাল্লা ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। ঝুমনের পরিবারের দাবী মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঝুমনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন ঝুমন দাস ফেইসবুকে একটি উসকানিমূলক পোস্ট করেছিলো। সে কারণে নোয়াগাঁও গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। থানা পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দায়ের করার পর ঝুমন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সুনামগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাস।এর জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ১৬ মার্চ রাতেই ঝুমনকে পুলিশ আটক করে।পরদিন সকালে কয়েক হাজার লোক একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে থাকে। এক পর্যায়ে যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মেম্বারের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে হামলা চালিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয় । তখন সারাদেশ ব্যাপী আলোচনায় আশে শাল্লার নোয়াগাও গ্রামের ঘটনাটি। এরপর ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম। এছাড়াও নোয়াগাও গ্রামের হামলার ঘটনায় যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম, স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ও ঝুমন দাসের মা নিভা রানী তিনটি মামলা করেন। তিন মামলায় প্রায় ৩ হাজার আসামি হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলেসহ শতাধিক আসামি গ্রেফতার হন। তারা সবাই এখন জামিনে রয়েছে ।এদিকে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন ঝুমন দাস। কারাবন্দির ছয় মাস পর শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পায় সে। কিন্তু জেল থেকে বের হয়েই আদালতের দেয়া জামিনের শর্ত অমান্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা লেখি সহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পরার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে উস্কানীমূলক কয়েকটি স্ট্যাটাস দিলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পরে। মঙ্গলবার দিনভর থানায় নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে রাতে শাল্লা থানা পুলিশ বাদী ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ঝুমনের ভাই নুপুর দাস বলেন- ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার অভিযোগে পুলিশ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় তাকে থানায় নিয়ে যায় । এর আগে দুই দিন ধরে ফলো করছিল পুলিশ। ‘তার মোবাইল পুলিশ নিয়ে গেছে এবং কিছু পোস্ট রিমুভ দিয়েছে।