শাল্লায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও দিব্যি বেতন নিচ্ছেন পাঁচ কর্মকর্তা

স্টাফ রির্পোটারঃ

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। কোথায় আছেন কেউ বলতে পারেন না। ৩ বছর আগে শাল্লায় যোগদানের পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ। তবুও তার চাকরি এখনও বহাল আছে। আর কর্মস্থলে কাজ না করেই বেতন-ভাতা তোলেন এমন আরও ৫ কর্মকর্তা রয়েছে। বছরের পর বছর এমন অনিয়মে বেহাল হয়ে পড়ছে শাল্লা উপজেলার দাপ্তরিক কাজকর্ম। এই ৫ কর্মকর্তা নিজ বাড়িতে থেকেই বেতন- ভাতা তুলছেন প্রতিমাসে। অনুপস্থিত কর্মকর্তারা হলেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার উল্লা, উপজেলা রিসোর্চ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা তপন কান্তি দাস।
কর্মকর্তাদের এমন অনুপস্থির সংখ্যা থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এখনো প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এই ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে উপজেলার কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন কর্মকান্ড চলছে।
সরকারি নিয়োগ অনুযায়ী তাদের কর্মস্থল শাল্লা উপজেলা দেখানো হলেও বাস্তবে তারা রয়েছেন অন্য জেলা শহরে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সরজমিনে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের কর্মচারীরা বলেন, স্যার বাহিরে আছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় কর্মকর্তা পেয়ার আহমদের সাথে। তিনি বলেন মাঝে মধ্যে আমি কর্মস্থলে থাকি। শাল্লা আসলে আপনার সাথে দেখা করবো বলে ফোন কেটে দেন।
এরপর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা তপন কান্তি দাসের সাথে। একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি।
মোবাইল ফোনে কথা হয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার উল্লার সাথে তিনি বলেন, আমি বাসায় বসেই সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কোনো কাজ আটকে থাকেনি। বাসায় বসে অফিস করার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ চললে তো কোনো সমস্যা নাই। আর মাঝে মধ্যে তো যাওয়া হয়। উপজেলা রিসোর্চ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, কর্মস্থলে থাকা হয়। তবে কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় এবং জাতীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য কর্মস্থলে থাকতে পারি না।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। কারন তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, শাল্লার ইউআরসিকে মাসে ১০টি উন্নয়নমুলক কাজ পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠানোর কাজ দেয়া হয়েছে। আর কর্মস্থলে যদি না থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।