শাল্লায় জালিয়াতির দায়ে দলিল লিখক কারাগারে

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পর্চা জালিয়াতির দায়ে দলিল লিখক নীতিশ পুরকায়স্থ এখন কারাগারে। সে উপজেলার হবিবপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র পুরকায়স্থের ছেলে।
সোমবার ১৫ নভেম্বর ঘুঙ্গিয়ার গাঁও তহশিল অফিসের
ভুমি সহকারী কর্তকর্তা আহাদ আহম্মেদ এর দায়ের করা শাল্লা থানা মামলা নাম্বার ২ এ গ্রেফতার করা হয়। উক্ত মামলায় দিরাই উপজেলার জয়পুর গ্রামের (বর্তমান মেম্বার) তপন ভৌমিক এবং নিশিকান্ত দাসকে ও আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় — সোমবার উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ার গাঁও তহশিল অফিসে দলিল লিখক নীতিশ পুরকায়স্থ জাল পর্চার খাজনা দিতে গেলে তহশিল অফিসের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই দিন ছিল সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রির দিন। অফিস চলাকালীন সময়ে পাশে দিরাই উপজেলার জয়পুর গ্রামের তপন ভৌমিকের একটি দলিল রেজিস্ট্রি করতেই এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে নীতিশ পুরকায়স্থ।
এবিষয়ে তহশিলদার আহাদ আহম্মেদ বলেন, নীতিশ পুরকায়স্থ যে পর্চা নিয়ে খাজনা দিতে এসেছিল তার সঙ্গে বলিয়মের পর্চার মিল নেই। সে নিয়ে নীতিশ পুরকায়স্থ সাথে কথা হলে তিনি উত্তেজিত হয় যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করেছে আমাদের সঙ্গে। নিরুপায় হয়ে আমি থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। পরে নীতিশ পুরকায়স্থ সহ নিশিকান্ত দাস ও দলিল গ্রহীতা তপন ভৌমিককে আসামি করে মামলা করি। তিনি আরো বলেন, ইতিপুর্বে ও সাবরেজিস্ট্রার অফিসে জালিয়াতি কারণে নীতিশ পুরকায়স্থ লিখিত মুছলেকা দিয়েছে। তার পর ও সে এই সব জালিয়াতির ধান্দা করেই চলেছে বলে জানান।
এনিয়ে অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, তহশিলদার আহাদ আহম্মেদ এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মামলার প্রধান আসামি নীতিশ পুরকায়স্থ কে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হলে মহামান্য আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান।