শাল্লায় দুই মামলায় যুবলীগ সভাপতিসহ দেড় হাজার আসামী , আটক ২২ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক দিশা ডটকম ঃ-
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মেম্বারসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় পৃথক মামলা রেকর্ড হয় । গত রাতভর অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।
দুই মামলার একটির বাদী শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর ও কাশিপুর গ্রামের ১৫০০ জনকে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ‘ঘটনার উস্কানিদাতা’ নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মিয়াকে। সে নাচনী গ্রামের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা কেরামত আলীর ছেলে।
মামলা দায়েরের পর দিরাই ও শাল্লা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করেছে বলে জানান শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে। অভিযান পরিচালনা ও সুষ্ট তদন্তের জন্য আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অনেক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।। সরমঙ্গল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি দুলাল আহমেদ বলেন স্বাধীন মেম্বার ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি। দিরাই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়ের মুঠোফোনেে বার বার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।