শাল্লায় ভোট পুনঃগণনার দাবিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আবেদন

শাল্লা প্রতিনিধিঃঃ-ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর আবেদন পত্র দাখিল করেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বিগত ৫ই জানুয়ারী ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রণজিৎ কুমার দাস। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সদয় অবগতির জন্য আবেদনের অনুলিপি পেশ করেন তিনি।
তিনি তার আবেদন পত্রে উল্লেখ করেন হবিবপুর ইউনিয়নের মার্কুলি,ফয়েজুল্লাহপুর ও আগুয়াই সেন্টারে ভোট কারচুপি করা হয়েছে,ভোট গণনার পরে এজেন্টদের কাছে থেকে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা থাকলেও প্রিজাইডিং অফিসার সব কেন্দ্রের  এজেন্টদের কাছ থেকে দুপুর ১ ঘটিকার সময় স্বাক্ষর নিয়ে নেয় এবং ভোট গ্রহণের পর উনাদের মত করে ভোট গণনা করেন এবং  আমার এজেন্টরা ভোট পুনঃগণনার আবেদন করলে প্রিজাইডিং অফিসাররা তা প্রত্যাখান করে।আমার এজেন্টেরকে রেজাল্ট সীট না দিয়েই ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন।তিনি আরো উল্লেখ করেন ফয়েজুল্লাহ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারের প্রিজাইডিং অফিসার মতিউর রহমান ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই আমার এজেন্টদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং অত্র ইউনিয়নের সর্বশেষ ঠিকমত ভোট গণনা না করেই উনি (প্রিজাইডিং অফিসার) চেয়ারম্যান প্রার্থীদের রেজাল্ট দিয়ে দেন।
সে কারনে উক্ত সেন্টারে আমরা তিন রকম রেজাল্ট দেখতে পাই।আগুয়াই সেন্টারে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাসের আনারস মার্কার ব্যাল্ট পেপার বান্ডিলের ভেতরে আমার নৌকা প্রতীকের ২৫ টি ভোট পাওয়া যায়।
আবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন মার্কুলি সেন্টারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার একে এম রেজাউল করিম প্রত্যেক ভোটারদের তিনটি ব্যাল্ট পেপার দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ভোটারকে চেয়ারম্যানের ব্যাল্ট পেপার দেয়নি কয়েকজন ভোটার আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি আমার এজেন্ট ও স্বাক্ষীসহ ঐ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার একে এম রেজাউল করিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলি।তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস উক্ত কেন্দ্রেও আমার প্রতি অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে।আবেদন পত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন মার্কুলি ভোট কেন্দ্রে প্রথম প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে মনোনীত ছিলেন শাল্লা শহীদ আলী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলাল কিন্তু অঙ্গাত কারনে শেষের দিকে উনাকে পরিবর্তন করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাসের ভাতিজি জামাই কালিপদ দাসকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।এই অভিযোগের কারণে আমি মনে করি এতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে এবং আমার প্রতি অন্যায় ও অবিচার করা হয়েছে।
এতসব অভিযোগের পরিপেক্ষিতে আবেদনকারী রণজিৎ কুমার দাস বলেন এতসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করে মাত্র ৪১৫ ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজয় দেখানো হয়েছে তা আমি কখনো মেনে নিতে পারিনি পুনরায় ভোট গণনা করা হলে আমার প্রতি যে অনিয়ম,দুর্নীতি ও কারচুপি করা হয়েছে তা নিশ্চিত ধরা পড়বে এবং বিশাল ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হব বলে জানান তিনি।আবেদনটি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্ত করে ভোট পুনঃগণনার জন্য কতৃপক্ষের কাছে একান্ত জোড় দাবি জানান আবেদনকারী রণজিৎ কুমার দাস।