শাল্লায় মন্দিরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি-

সুনামগঞ্জের শাল্লায় ইউপি মেম্বার কর্তৃক মন্দির উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৯জুলাই) উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন রঘুনাথপুর গ্রামের কালীচরণ দাস।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর গ্রামে কালীচরণ দাসের বাড়ির কালীমন্দির উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালে ১লক্ষ ৮২হাজার টাকা জেলা পরিষদ হতে বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত মন্দির উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার প্রসেনজিৎ দাস। কিন্তু মন্দিরের কোনো উন্নয়ন কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা পকেটেস্থ করেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযোগকারী কালীচরণ দাস বলেন, কালীমন্দিরটি আমার বাড়িতে অবস্থিত। এই মন্দিরের নামে জেলা পরিষদ থেকে ১লক্ষ ৮২হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে একথা গ্রামের সবাই জানে। কিন্তু মেম্বার প্রসেনজিৎ দাস মন্দিরের কোনো কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এনিয়ে গ্রামবাসির বার মেম্বারকে তাগাদা দিলেও সে কোনোরূপ তোয়াক্কা করছে না।
এব্যাপারে মেম্বার প্রসেনজিৎ দাসের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদিরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটু বাইরে। অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।