শিলা বৃষ্টি আঘাত হেনেছে কৃষকের স্বপ্নে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সবে মাত্র ফাল্গুন মাস।এই মাসে ঝড় তুফান আর শিলা বৃষ্টির তান্ডব আগে দেখেনি হাওরবাসী।সোমবার ভোর ৫ টায় শিলা বৃষ্টির আঘাত হেনেছে কৃষকের স্বপ্নে।তছনছ করে দিয়েছে কৃষকের বাঁচার এক মাত্র অবলম্বন বোরো ধানের জমি।দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।শিলাবৃষ্টির আঘাত জমিতে নয় এযেন আঘাত করেছে কৃষকের হৃদয়ে। ক্ষতি হয়েছে আম্রমূকুলের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘর- বাড়ি।

শাল্লা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,
এবছর শাল্লায় মোট ২১ হাজার ৯ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়।এর মধ্যে ১৫ শ হেক্টর বোর ধানের জমি শিলা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে।বেশব ক্ষতি হয়েছে ৩শ হেক্টর জমি।
আক্রান্ত জমিতে ক্ষতির পরিমান ২০%।আর মোট জমি অনুপাতে ক্ষতির পরিমান ১.৩৭%।

এর মধ্যে বাহাড়া ইউনিয়নে শিলা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে ৪৫০ হেক্টর জমি, হবিবপুর ইউনিয়নে ৪২০ হেক্টর,শাল্লা ইউনিয়নে ৩১০ হেক্টর এবং আটগাঁও ইউনিয়নে ৩২০ হেক্টর জমি।

তবে কৃষকের মতে এ ক্ষতির পরিমান আরো বেশি।তারা বলছেন প্রায় ৪০০০ হেক্টর বোরো জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এবিষয়ে শাল্লা উপজেলার ডুমরা গ্রামের কৃষক সুধাকর দাস বলেন, ১২ কেয়ার জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম সব নিয়ে গেল শিলাবৃষ্টিতে এখন এইগুলো গুরুকে খাওয়াতে হবে।

উপজেলার এয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক সাইফুর রহমান বলেন, এবছর ৫৫ কেয়ার জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে।কি হবে একমাত্র আল্লাহ জানেন।তবে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদেরকে সাহায্য করতে কৃষি অফিসের প্রতি অনুরোধ জানান।

৩ নং বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চোধুরী জানান তার ইউনিয়নে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ১০ জন লোক আহত হয়েছে এবং দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে  ও একটি বসত ঘর ভেঙ্গেছে বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন,উপজেলায় প্রায় ১৫ শ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তার মধ্যে ৩০০ হেক্টর জমি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।বাকি ১২০০ হেক্টর জমি আর কোন শিলা বৃষ্টি না হলে ভালো হয়ে যাবে।তাছাড়া আমার ক্ষয় ক্ষতির তালিকা জেলায় পাঠিয়েছি।