দিরাই প্রতিনিধি ঃ- সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে । মানুষ এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, উড়াল সেতুসহ যাত্রীবাহী সকল উন্নত যানবাহন ব্যবহার করছে। দেশের মাটিতে বিদেশের সকল সুবিধা উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে জনগন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনেই বাংলাদেশের জনগণ এখন বহির্বিশ্বের ন্যায় প্রযুক্তির ব্যবহারে সুযোগ সুবিধাসহ উন্নত দেশেও কাজের সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন যেহেতু সারাদেশ উন্নত হচ্ছে তাই দিরাই শাল্লার জনগণকে উন্নয়নের সাথে সামিল করতে হবে। আগামী নির্বাচনে তার জন্মভূমিতে কাঙ্কিত উন্নয়ন ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ গড়তে দিরাই -শাল্লা আসেন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন অতীতে তিনবার দলীয় মনোনয়ন পেলেও জোটের স্বার্থে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করেননি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ১০ম বারের মতো দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে দিরাই উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকাল ২ টায় দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে,উপজেলা যুবলীগ নেতা রুবেল সর্দার ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেন সারা দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ার ভাসছে তখন দিরাই শাল্লায় চলছে পরিবার তন্ত্রের রাজনীতি। আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের দলের পদ পদবী থেকে বঞ্ছিত রেখে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিএনপি জামায়াতের ধুসরদের নিয়ে আওয়ামীলীগের ধ্বংসের দিকে নিতে চাইছে দলে থাকা স্বার্থান্বেষী কিছু নেতা কর্মীরা। আজ থেকে দিরাই – শাল্লার জনগণ ঐক্যবদ্ধ। প্রকৃত আওয়ামীলীগারদের নিয়ে সরকারের উন্নয়ন গতিশীল রাখতে হবে। আওয়ামীলীগের মাধ্যমে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রেখে বঞ্ছিত মানুষদের পাশে থাকা সুনামগঞ্জের প্রান পুরুষ আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে দিরাই – শাল্লার এমপি হিসেবে দেখতে চায় জনগণ । তিনি বলেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর মিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো হাওর পাড়ের উন্নয়ন করবো। সেখানে থাকবেনা পরিবার তন্ত্র, হিংসা – বিদ্ধেষ গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ।
সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্ত্বব্য রাখেন সুুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামিম, শাল্লা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সৈয়দ আবুল কাশেম, দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম,
শাল্লা উপজেলা আ. লীগের সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার,তাহেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর, সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী, দিরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,জেলা পরিষদের সদস্য রায়হান মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আরিফ হোসেন চৌধুরী ইয়হিয়া,দিরাই পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারওয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা মকসদ আলম, কৃষকলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি হাইয়ুম মিয়া,আওয়ামীলীগ নেতা গোলাপ মিয়া,বিশ্ব রায় বিষু, ডাক্তার আল মামুন, সাবেক কাউন্সিলর সোহেল চৌধুরী, ছানা মিয়া, মিজানুর রহমান, রফিনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আল মামুন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য সমাবেশ ঘিরে দলের বিবাদমান দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা থাকায় বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সমাবেশের আশে পাশে অবস্থান নিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল। দিরাই শাল্লা আসনের সংসদ সদস্যকে পাশ কাটিয়ে তার বাসভবনে অদূরে সমাবেশটি হয়।যার ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের ( জয়া সেনগুপ্তার বাসা) মূল ফটকে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
