সুনামগঞ্জের করোনা জয়ী সাজিবুরের ফেইসবুক থেকে 

ডেস্ক নিউজঃ

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের করোনা পজিটিভ রোগী সাজিবুর রহমান। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আজ নিজ বাড়িতে চলে গিয়েছেন। নিজ টাইম লাইনে তিনি তার অনুভুতির কথা ব্যক্ত করেছেন। করোনাজয়ী তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। দৈনিক দিরাই শাল্লা  এর সকলের জন্য তার সেই অনুভূতি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“আলহামদুলিল্লাহ আজ বাড়িতে এসে পৌছালাম।
জলিলপুর/ বি/পুর, সুনামগঞ্জ।

শুরু করছি আমি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু।

সকল ডাক্তার স্যার ও নার্স আপুদের কে স্যালুট আমার পক্ষ থেকে। ওনাদের কাছে আমি ঋৃণী ও চিরকৃতজ্ঞ। তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সেবা করে যাচ্ছেন।

১)আমার শরীরিলে কোন ধরনের কোভিড ১৯ এর উপসর্গের লক্ষণ ছিলো না,

২)ঢাকা আমাকে নিয়ে একটি টেষ্ট করানো হয়ে ছিল, কিন্তু উক্ত টেষ্ট আমার কোনো মতামত ছিলো না, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে টেষ্ট করানো হয়েছিল।

৩)উক্ত টেষ্টের রিপোর্টের জন্য আমার ফোন নাম্বার দেওয়া চেষ্টা করি, কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। সেখানে অন্য ফোন নাম্ভার দেওয়া হয়েছে।

৪)ঐ দিনই আমি আমার গ্রামের বাড়িতে চলে আসি
কোভিড ১৯ এর প্রতিরোধ নিয়ম মেনে, মুখে মাক্স, দুই হাতে হেন্ডগ্লাভস পরে এবং সাথে ছিল হেন্ডসেনিটাইজার। যদি আমার পজেটিভ হয়? আমার দ্বায়া যে অন্য কারো ক্ষতি না হয় সেই ভাবে আমি আমার বাড়িতে পৌঁছেছি।

৫)যেহেতু আমি ঢাকা ফেরত তাই থানা এবং চেয়ারম্যান কে অবগতকরে আমি কোভিড১৯ প্রতিরোধ নিয়ম মেনে ১৪ দিনের হোম কোরায়েন্টান থাকবো। আলেদা একটি বাড়িতে আবস্থান করি, আমি কারও সাথে মিশি নাই দুর থেকে ওয়ান টাইম বক্সে খাবার সংগ্রহ করছি।। ২দিন এবং দুই রাত আবস্থান করি ঐ আলেদা একটি নতুন বাড়িতে।

৬)তারপর ১৫ এপ্রিল রাতে আমাকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে আসার পর আমি জানতে পারি আমার কোভিড১৯ পজেটিভ। ঢাকার রিপোর্ট অনুযায়ী।

৭)সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমার ভিতর সবসময় একটা কাজ করতো আমি এখনো নেগেটিভ আছি এটাই ছিলো আমার বড় শক্তি । এবং মহান আল্লাহ তালার উপর আমার দীর্ঘ বিশ্বাস ছিলো আমার কিছু হবে না।

৮)যাই হোক আল্লাহ উপর বিশ্বাস রেখে উক্ত হাসপাতালে আমি থাকতে শুরু করলাম।

৯) ৭দিন পর আমি একটি টেষ্টের নমুনা দেয়, সেই টেষ্টে কোভিড১৯ নেগেটিভ আসে, তার কয়েকদিন পর আরেকটা নমুনা দেয় সেখানেও কোভিড১৯ নেগেটিভ আসে। তারপর আমাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়, তুমি কোভিড১৯ মুক্ত, তখন খুশিতে আমার মনটা ভরে যায়,আর বলতে থাকি আলহামদুলিল্লাহ । সবাইকে কল করে জানিয়ে দিলাম।।

১০) উক্ত হাসপাতালে আমি ১২ দিন থাকি কোভিড১৯ এর চিকিৎসার জন্য।। উক্ত ১২ দিন আমি যা যা করছি নিচে তা বর্ণনা দিলাম:-

১১) প্রতিদিন আমি ৩/৪বার গরম পানি পান করতাম। গরম পানির সথে লেবুররস এবং পরিমানমত লবণ দিয়ে গরগরা কুলিকরতাম এবং গরম পানি পান করতাম।। এবং ডাক্তার স্যার এবং নার্স আপুদের নিয়ম ও পরামর্শ অনুযায়ী থাকছি ।

১২) প্রতিদিন হাসপাতালে নিয়ম ও মেনু অনুযায়ী সকাল, দুপুর ও রাতে খাবার দিয়েছে।

১৩) প্রতিদিন ১বার রং চা পানকরতাম সাথে ছিল আদা, এলাচ, দারচিনি

১৪) ভিটামিন-সি টেবলেট, দিনে ২বার খেয়েছি সকাল এবং রাতে। প্রতিদিন একটা করে মাল্টা খেয়েছি, প্রতিদিন ১.৫লি. গরম পানি এবং ২.০০লি. নরমাল পানি পানকরছি।

১৫) কোভিড১৯ পজেটিভ হলে গাভরে যাবে না, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই শুধু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলোন সবঠিক হয়ে যাবে। শুধু ১৪ দিন নিয়ম মেনে চলুন, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করতে হবে। দেখবেন ১৪ দিন পর আপনার কোভিড১৯ নেগেটিভ চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।“