স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন দিরাইয়ের অধ্যাপক ডা:  উবায়দুল কবীর চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক দিশাডটকমঃ  ঃ চিকিৎসা বিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, সুনামগঞ্জের দিরাই-এর ভাটিপাড়া গ্রামের কৃতিসন্তান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী।
গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে দেশের ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণ প্রদান করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ১৯৫১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই-এর ভাটিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মরহুম গোলাম কাদীর চৌধুরী ও মরহুমা রোকেয়া কাদীর চৌধুরীর তৃতীয় সন্তান। তাঁর পিতা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সেরা ছাত্র হিসেবে স্কুলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ এসএসসি পাশ ও ১৯৬৮-৬৯ সালে জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা থেকে এইচএসসি-তে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ ও বোর্ড বৃত্তি লাভ করেন। কলেজে পড়াকালীন সময়ে সরাসরি ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জগন্নাথ কলেজ হল ছাত্র সংসদ ইলেকশনে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ওই কলেজে একই ধারায় ছাত্রলীগ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং একজন কর্মী হিসেবে প্রত্যেকটি দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে ৬৯ এর গণ আন্দোলন, ১১ দফা ছাত্র আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণার সময় প্রতিটি প্রোগ্রামে তিনি অংশ নেন।
এদিকে, মেডিকেলের ছাত্র থাকার সুবাদে তিনি ভাটিপাড়া হাইস্কুলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পুরো নয় মাস সময় নিয়মিত অসুস্থ ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দান করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীকালে ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে এক্সিলেন্ট গ্রেডে প্রথম স্থান অর্জন করে চর্ম ও যৌনরোগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান এবং দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। বর্তমানে তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা. মেহনাজ কবীর একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ।