নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় আরসিসি রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ইয়ারাবাদ-কান্দিগাঁও গ্রামের মানুষ।
তারা বলছেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের লোকজন আরসিসি রাস্তা ঢালাইয়ে রড বা লোহার নেট দেয়নি। অথচ সম্পূর্ণ রাস্তার কাজে লোহার নেট দেওয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার (১মার্চ) কান্দখলা হতে কান্দিগাঁও পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজের সাইটে গেলে দেখা যায় এলাকার লোকজন ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তার কারণে জানতে চাইলে কান্দিগাঁও গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার কাজ করছে না। তারা ডাকাতি করছে। দেখেন, এ রাস্তার কাজ কি ধরণের মালামাল দিয়ে করা হচ্ছে। তাছাড়া ঠিকাদারের লোকজন ঢালাইয়ের নিচে লোহার রড কিংবা লোহার নেটও দিচ্ছে না। তারা এমনিতেই ধুলা-ময়লা মেশানো বালি-পাথর মিশিয়ে দায়সাড়া ভাবে রাস্তা ঢালাই করছে। তাই আমরা কাজ বন্ধ করতে বলেছি।
এসময় উপস্থিত আরো লোকজন জানান এরাস্তার কাজ বেশ কতদিন ধরেই চলছে। এখানে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কোনো লোককে আসতে দেখিনি।
এই রাস্তা নির্মাণ কাজের সাইটে ঠিকাদারের লোক মিজানুর রহমান শিকার করে বলেন, আমরা এই স্লাবের ঢালাইয়ের নিচে লোহার নেট দিইনি। সে আরো জানায় এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান নাকি রাস্তার কাজে লোহার রড বা নেট দিতে নিষেধ করেছেন।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিহাব এন্টারপ্রাইজের পরিচালকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সাইটে ছিলাম না। তাই জানি না কাজে কি হয়েছে। তবে আমার লোকজন আমাকে জানিয়ে এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নাকি লোহার নেট সরিয়ে ফেলেছে।
এবিষয়ে শাল্লা এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জানতে পেরে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এই স্লাবের স্থানটি উচু হয়েছিল, তাই নেট দিতে নিষেধ করেছি। তিনি আরো বলেন, নেট ছাড়া অনেক কাজই হচ্ছে। তাতে কি হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন বিষয়টি পত্রিকায় লিখা ঠিক হবে না।