দিরাই উপজেলা হাসপাতালের সংকট সমাধানের আশ্বাস এমপি জয়া সেনের

দিরাই প্রতিনিধি
চিকিৎসকসহ নানাবিধ সংকটে ভোগছে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিরাই উপজেলা হাসপাতাল। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। লোকবল সংকট, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় যথাযথ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও আজও অনুমোদন মেলেনি। অনুমোদন পেলেই লোকবলের আর অভাব হবে না, সব সংকট থেকেই উত্তরণ সম্ভব হবে।
জানা গেছে, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এক্সরে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে। ১৯ জন ডাক্তারের স্থলে আছেন ৫ জন, নার্সসহ প্রতিটি বিভাগে রয়েছে তীব্র লোকবল সংকট। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২/৩শত রোগীর চাপ থাকে। এতে কর্তব্যরত ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হয়। সামান্য জটিল রোগ হলেই সিলেট পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা দরিদ্র রোগীরা পড়েন ঘোর বিপাকে।
এছাড়াও হাপাতালে বিদ্যুৎ পানির সমস্যা লেগেই আছে। রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। তবে সোমবার সকালে ড. জয়া সেনগুপ্তা হাসপাতাল পরিদর্শন এসে মতবিনিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব সমস্যা সমাধান এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ৫০ শয্যা হাসপাতালের অনুমোদনের বিষয়টি তুলে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) বিশ্বজিৎ দেব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সোহেল আহমেদ, সিরাজ উদ দৌলা তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিরাম তালুকদার, উপজেলা কৃষক লীগ আহবায়ক তাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শাহজাহান সরদার, আরএমও ডা. সুমন চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনি রানী তালুকদার, নাজিয়া মানালুল ইসলাম, ডা. শফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, অনলাইন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ, প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।