শাল্লায় কুশিয়ারায় বিলীন শত শত ঘরবাড়ি

 

 

পিসি দাশ, শাল্লা
কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রাম এবং হবিবপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর, মার্কুলী, টুকচানপুব, ফয়জুল্লাহপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে নদী আরো প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে হুমকিতে পড়েছে ফয়জুল্লাহপুর, বিষ্ণুপুর প্রতাপপুর গ্রামের কয়েকশ পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, ৩-৪ বছর ধরে কুশিয়ারা নদীর ডান তীরে হবিবপুর ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রাম হতে এ ভাঙন শুরু হয়। এরপর প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনে নদীর পাড়ের ৫ টি গ্রামের শত শত বাড়ি-ঘর, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ কবরস্থান, মন্দিরসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ একর কৃষি জমি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে আরো তিনশ’ পরিবার, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রতাপপুর বাজার। এলাকাবাসী’র দাবি এখনই নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে ওই এলাকার চিত্রই বদলে যাবে।
প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা তরনী কান্ত দাস, রান্টু লাল দাস, ফয়জুল্লাহপুরের শরীফুল ইসলাম বলেন, দেখতে দেখতেই অনেক ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদ মন্দির, কবরস্থান বাজার নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে আমরা কোথায় আশ্রয় নেব। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে আমাদের প্রতাপপুর নোয়াহাটি বাজার, ফয়জুল্লাহপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে।
স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তার সাথে কথা বলেছেন স্থানীয় গণ্যমান্যরা, জয়া সেন গুপ্তা নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন।
শাল্লার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, যারা নদী ভাঙনের শিকার তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কুশিয়ারার ডান তীরের ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতাপপুর ও ফয়জুল্লাপুর গ্রামের ভাঙন রোধে নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।