নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবিকে নিয়ে ফেইসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোষ্ট কারীর বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় আইনজীবি ব্যারিষ্টার ফজলে এলাহী রেজার ছোট ভাই ফজলে রাব্বি বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগটি দাখিল করেন।অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছুফি মিয়ার বড় ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার ফজলে এলাহী রেজা। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে তিনি বর্তমানে গ্রামের বাড়ীতে স্বপরিবারে বসবাস করিতেছেন। তার প্রয়াত পিতা ছুফি মিয়া এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ফকির মোহাম্মদ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ও বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্টা করেছেন। জীবদ্দশায় বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাশ এর বিরোদ্ধে কলেজের আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়মসহ এলাকার জনৈক মহিলার সাথে অশ্লীল ভিডিও ফেইসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে প্রকাশিত হয় । এ বিষয়ের সুষ্ট বিচার দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এলাকাবাসী ও দাতা প্রতিষ্টাতাদের পক্ষে মোঃ জুয়েল মিয়া নামে এক ব্যক্তি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি দরখাস্থ করেন,যা তদন্তাধিন রয়েছে। এরই জের ধরে অধ্যক্ষ নিপেন্দ্র চন্দ্র দাশের পক্ষ অবলম্বন করে তার ভাই রঙ্গলাল দাশ আইনজীবি ব্যারিষ্টার ফজলে এলাহি রেজা সহ তার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ৩০/০৬/২০২০ইং মঙ্গলবার বেলা অনুমান ২.০০ ঘটিকার সময়, হিন্দু ধর্মাবলাম্বী মহিলার সাথে ব্যারিষ্টর ফজলে এলাহী রেজার ছবি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এডিট করে Dhakar King এর সাথে Mistry pori এর পোষ্টে “এবার দেখেন রাজরানীর কান্ডারী বেরিস্টার রেজা ভাই….” লিখা পোষ্টটি রঙ্গলাল দাশ তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে (Ronglal Das) শেয়ার করেন। মুহুর্তেই ফেইসবুকে এটি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত ছবি এবং লিখার কারনে ব্যারিষ্টার রেজা ও তার পরিবারের মান সম্মান এবং সুনামের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারী ফজলে রাব্বি বলেন,রঙ্গলাল দাশ প্রতিহিংসা বশত নিজেই অথবা অন্য কাউকে দিয়ে ফেইক আইডি খুলে ছবি সংযুক্ত লেখাটি পোষ্ট এবং শেয়ার করে আমাদের পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। আমার ভাই উক্ত ঘটনার দেখার পর থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে আমি তাহার অনুমতি নিয়ে এঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি । লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম।