নিজস্ব প্রতিবেদক – তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলো সৌরভ দাস। ঈদের আগের দিন সিলেটে বাবা মা দুটি ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহারান। ভাগ্যবলে বেঁচে থাকে সৌরভ দাস সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর (বাগহাটি) গ্রামের নিহত স্বপন কুমার দাসের বড় ছেলে। তার মৃত্যুরপর পাঁচ সদস্যের পরিবারে কেউই আর বেঁচে রইলো না। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সৌরভ দাস । শুক্রবার ঈদুল আজহার অলআগের দিন ব্রাক কর্মকর্তা পিতা স্বপন কুমার দাসের সাথে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থেকে ঈদের ছুটিতে সৌরভ তার জমজ দুই ভাই ও মাতাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ী দিরাই উপজেলার শ্যামারচর যাচ্ছিল।
পথিমধ্যে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে ওসমানীনগর থানার বড়াইয়া চাঁনপুর নামক স্থানে কুমিল্লা টান্সপোর্টের ঘাতক বাস-কার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা স্বপন কুমার দাস, মা লাভলী রানী দাশ ও সৌরভের দুই জমজ ভাই শৈবাল দাস এবং সৌমিত্র দাস (৮)। দুর্ঘটনায় সৌরভ তৎক্ষনাৎ প্রাণে বেঁচে গেলেও ৩দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানাল সৌরভ।
সৌরভের একমাত্র কাকা সমর দাস জানান- আমার একমাত্র ছোট ভাই স্বপন প্রত্যেক ঈদ ও দুর্গাপুজার ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে আসতো। শুক্রবার ভোরে রওয়ানা দেয় বাড়িতে আসার জন্য। সকাল সাড়ে সাতটায় পথেই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পরে তারা চার জনের মৃত্যু হয়। শোকে কাতর সমর দাস আরও জানান- ছোটভাই ও তার স্ত্রী লাভলী রানী দাস জমজ দুই সন্তানসহ ঘটনাস্থলে মারা গেলেও পরিবারের স্বপ্ন সৌরভ (১৪) প্রাণে বেঁচে থাকে । এখন সেই স্বপ্ন বেঁচে রইলো না। শনিবার রাত ১০টায় ভাতিজা সৌরভ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।