মোঃ ফখরুল ইসলাম, স্টাফ:
সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক সাংবাদিক গ্রামের সহজ-সরল লোকজনদের রাস্তা থেকে ধরে ধরে এনে মানববন্ধন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অফিস সহকারি মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ চন্দ্র ভৌমিক।
২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে উপজেলা সদরে স্থানীয় ব্র্যাক অফিসের সামানের রাস্তায় বাজারে আসা দু’চার জন নিরীহ পথচারিদের ধরে ধরে এনে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে মানববন্ধন করে সাংবাদিক পি.সি. দাশ (পীযুষ)।
মানববন্ধনের প্রতিবাদে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতিষ চন্দ্র ভৌমিক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তিনি বাড়ি থেকে বাজারে আসছিলেন। এমন সময় সাংবাদিক পীযুষ তাকে হাত ধরে টেনে কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই লাইনে দাঁড় করায়। তিনিও পূর্ব পরিচিত হিসেবে সাংবাদিক পীযুষকে বিশ্বাস করে সরল মনে মানববন্ধনের লাইনে দাঁড়ান। ওইসময় ব্যানারে কি লিখা ছিল তা তিনি জ্ঞাত ছিলেন না। পরবর্তীতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানববন্ধনের ছবি দেখে বিব্রত হন।
তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, শাল্লা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা একজন অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী, একনিষ্ট ও নাগরিক সেবাবান্ধব কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার উদ্দেশ্য ওই সাংবাদিকের ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। তাই তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
তাছাড়া, কোনোকিছু না বুঝে ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী উপজেলার সহদেবপাশা গ্রামের মোঃ হারুন মিয়া, দামপুর গ্রামের মোঃ লুৎফুর রহমান ও সুলতানপুর গ্রামের নবী হোসেনগণ বলেন, আমরা ব্র্যাক অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক পীযুষ আমাদেরকে বলে দাদা একটু দাঁড়ান। আমরা কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই পীযুষ তড়িঘড়ি করে কয়েকটি ছবি তোলেন। পরে একটি অনলাইন পোর্টালে আমাদের ছবি দেখতে পাই। আমার পীযুষের মানববন্ধনের বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমরাও এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ মোজাম্মিল হক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাদল চন্দ্র দাস, সহ সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ঠিকাদার দ্বিপক কান্তি সরকার (লাকু), কান্দিগাঁও গ্রামের পলাশ মাহমুদসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।