চীন প্রশ্নে বাংলাদেশ-ভারত টানাপোড়ন—এডভোকেট  শিশির  মনির

 

 

চীনের সাথে ভারতের সীমানা ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার। দুদেশের সীমান্ত বিরোধের ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। ১৯৬২, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৫ সালে  সীমান্ত বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। ১৯১৪ সালে বৃটিশ কতৃক  নির্ধারিত সীমানা (ম্যাকমোহন লাইন) চীন আজও মেনে নেয়নি । ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর দুদেশের সীমান্তে প্রদত্ত ‘লাইন অব এ্যকচুয়াল কন্ট্রোল’ (এলএসি) অলিখিত সীমানায় পরিণত হয়। ১৯৯৩ সালে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে দ’ুদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যকচুয়াল কন্ট্রোল লাইন স্বীকার করে নেয়। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে আরুনাচলের গিরিপথে চীনা সেনাদের গুলিতে চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়। সম্প্রতি ১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। চীন এবং ভারতীয় সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন কর্নেল সহ ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। গত ৪৫ বছরে দু’দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে সহিংস ঘটনা। চীনা সেনারা গালওয়ান পয়েন্ট-১৪ এর ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূমিতে তাবু গাড়ে এবং ভারতীয় সেনারা তা সরানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গত মাসের শুরুতে  লাদাখের প্যাংগং লেক এবং সিকিম সীমান্তে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার রেশ এতটাই প্রকট হয় যে, দুই দেশই লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধাস্ত্র (অস্ত্র, সেনা, ফাইটার জেট) মোতায়েন করে। সেনা অফিসারদের দীর্ঘ বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এই মাসের মাঝামাঝিতে আবারও সীমান্ত উত্তপ্ত হয় । ১৯৯৬ সালে দুই দেশ প্রকৃত নিয়স্ত্রণ রেখার দুই কিলোমিটারের ভেতর গুলাগুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার না করার শর্তে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু লাদাখে সহিংসতার পর ভারত এই চুক্তি ভঙ্গ করে সীমান্তে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে ভারতের এই পদক্ষেপ দুইদেশের সীমান্তকে ভবিষ্যতে আরো সহিংস করে তুলবে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী সবকটি দেশের সাথেই ভারতের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ভারতের সবথেকে প্রাচীন প্রতিবেশী বন্ধু নেপাল। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনই ছিলো নেপালে জ¦ালানি তেল সরবরাহকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান। যার ফলে নেপাল ভারতের তেল-রাজনীতির গন্ডি থেকে বের হতে পারেনি  এবং নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতো ভারত। ২০১৫ সালে প্রবর্তিত নেপালের সংবিধান ভারতের মনঃপূত না হওয়ায় দেশটি তেল অবরোধ আরোপ করে। নেপালের অর্থনীতি যখন নজীরবিহীন সংকটে ঠিক তখনি এগিয়ে আসে চীন। নতুন তেল চুক্তি স্বাক্ষর হয় দ’ুদেশের মাঝে। এর ফলে নেপালের তেল বাজারের উপর দীর্ঘ দিনের আধিপত্য হারায় ভারত।  নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর উপর ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে দিল্লী। নতুন সংবিধানের অধীনে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বামজোট ক্ষমতায় আসলে চীনের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয় । এই দৃঢ়তাই নেপাল-ভারত সম্পর্ককে আরও সংঘাতময় করে তুলছে। সম্প্রতি সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় নেপাল। ১৮ মে নেপাল সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা ভূখন্ডকে মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করে। একই ইস্যুতে নেপালী সেনাদের গুলিতে নিহত হয় এক ভারতীয় নাগরিক। উল্লেখ্য, ১৮১৬ সালে স্বাক্ষরিত সুগাওলি চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও নেপালের সীমানা নির্ধারিত হয়।

১৯৪৯ সালের ভারত-ভূটান চুক্তি ‘ট্রিটি অব ফ্রেন্ডশিপ’ অনুযায়ী  প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভূটান ভারতের উপদেশ মেনে চলবে। ভারতের সাথে ৭০ বছরের আধিপত্যবিস্তারকারী সম্পর্ক দিপাক্ষিকভাবেই স্বীকৃত ছিলো। ভূটান ভারতের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে না জড়ালেও সম্প্রতি দু-দেশের সম্পর্ক ক্রমেই শীতল হচ্ছে। এজন্য খোদ সংসদেই বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয় ক্ষমতাসীনরা। ভূটান ভ্রমনে পর্যটকদের চড়া কর গুনতে হয়। ভারতীয় পর্যটকরা এতদিন এই করের আওতামুক্ত থাকলেও থিম্পু তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।  ২০১৭ সালে ভারতীয় সেনারা ডোকালাম উপত্যকায় ভূটানের ভূখন্ড ব্যবহার করে চীনা ফৌজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। অথচ চলমান ভারত-চীন সংঘাতে চীনা ফৌজ ভূটানের ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার করে। যা কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে । ভূটানের সাথে চীনের সম্পর্ক স্থাপনের এই আগ্রহ ভারতের জন্য যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ ।

বৃটিশ কতৃক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত নির্ধারনের সময় কাশ§ীর অমীমাংসিত থেকে যায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের দুই মাসের মাথায় কাশ্মীর ইস্যুতে সংঘাতে জড়ায় দুই দেশ। তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। এরপর একই ইস্যুতে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বহুবার। ১৯৬৫ সালে দেশ-দুটি বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পরে। ধর্ম ও রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে পরমাণু অস্ত্রের অধীকারী দুই দেশের সীমান্তে বরাবরই যুদ্ধাংদেহী অবস্থা বিরাজ করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে উত্তপ্ত হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। ভারতীয় একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তানী সেনারা। অপরদিকে পাকিস্তান চীনের বিশ^স্ত বন্ধু। গোয়াদর বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ৪০ বছরের জন্য পাকিস্তান চীনের হাতে হস্তান্তর করে। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী নির্মিত ১৩০০ কি.মি কারাকোরাম মহাসড়ক দেশ-দুটির বন্ধুত্বের উজ্জল দৃষ্টান্ত।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতের কর্মকান্ড বরাবরই এ দু-দেশের সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ দক্ষিণ বেরুবাড়ী হস্তান্তর করে। কাজী মোখলেসুর রহমান বনাম বাংলাদেশ (২৬ ডিএলআর এ ডি ৪৪) মামলার রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চুক্তি বাস্তবায়ন করে। অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকে তিন বিঘা করিডোর চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগে দীর্ঘ ৪৫ বছর। ১৯৭৫ সালে ভারত গঙ্গা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে। যার ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের  জীব বৈচিত্র্য, কৃষি, নৌ পরিবহন, মৎস্য, মারাত্মক হুমকির মুখে পরে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। এখন পর্যন্ত এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান হয়নি। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক দশকে  (২০০৯-২০১৯) ২৯৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার স্বীকার হোন। শান্তিকালীন সময়ে সীমান্তে ধারাবাহিক মারণাস্ত্র ব্যবহার ও হত্যার এই লোমহর্ষক নজীর সারা পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সমুদ্রসীমা বিরোধ দীর্ঘ কয়েক দশকের। বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ  আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের দারস্থ হয়। ২০১৪ সালে আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় প্রদান করে। এর ফলে বাংলাদেশ বঙ্গপোসাগরে নতুন করে প্রায় ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের মলিকানা লাভ করে। এছাড়াও তিস্তা নদীর পানি না দেওয়া, অসম পানি বন্টন চুক্তি, কৃত্রিম বাণিজ্য ঘাটতি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, ভারতে বাংলাদেশি স্যটেলাইট চ্যানেলের অনুমতি প্রদান না করা, একতরফাভাবে বন্দর ব্যবহার, নামমাত্র মূল্যে ট্রানজিট, বারবার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের অসম সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের মাঝে ভারত বিরোধিতা তীব্রতর করছে।

ভারত যখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, চীন তখন তাদের পাশে পেতে অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে । ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়নে সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করেছে চীন। মিয়নমার, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন খাতে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে । ২০১৬ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি শি-জিনপিং বাংলাদেশ সফরে এসে ২৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন। সম্প্রতি চীনের বাজারে আরও ৫ হাজার ১৬১ পণ্যের ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা লাভ করে বাংলাদেশ। এই সুবিধা ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে । দেশটি কভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও বিশেষজ্ঞ টিম প্রেরণ করে।

ভারত মহাসাগরে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ (মুক্তার মালা) পরিকল্পনার আওতায় চীন তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করছে। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মিয়ানমারের সমুদ্র বন্দরগুলোতে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরের ৮০ শতাংশ মালিকানা ৯৯ বছরের জন্য ইজারা পেয়েছে চীন। একই সাথে পাশর্^বর্তী এলাকায় ১৫ হাজার একর জমি ইজারা পায় দেশটি। জায়গাটিতে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব চীনের হাতে হস্তান্তর একই পরিকল্পনার অংশ। ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিবুতিতে চীন সামরিক ঘাটি নির্মান করেছে।

গত এক দশকে জলে ও স্থলে চীনের এই আধিপত্য বিস্তার ভারতের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত ও চীনের এই দ্বন্দ্ব যখন ক্রমেই বাড়ছে তখন বাংলাদেশ তার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দু’দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে নিউইয়র্ক ভিত্তির্ক ‘ওয়ার্ল্ড পলিসি রিভিউ’ এ প্রকাশিত ‘হোয়াই ইন্ডিয়া এন্ড চায়না আর কম্পিটিং ফর বেটার টাইমস উইথ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি লেখায় ‘উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের’ একজন গবেষক তার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। ইস্ট এশিয়া ফোরামে প্রকাশিত একটি লেখায় ফরেস্ট কুকসন ও টম ফেলিক্স জোয়েনেক বাংলাদেশকে নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্বের ফল ভবিষ্যতে কী দাড়াবে এই প্রশ্নের জবাবে তারা বাংলাদেশের সাথে দু-দেশের বাণিজ্য নীতিকেই ভিত্তি হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে চীনের অর্থনীতি ভারতের তুলনায় অনেক বড়। চীন বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের জন্য তাদের বাজার খুলে দিলে, ভারত-চীন দ্বন্দ্বে সুুস্পষ্টভাবেই চীন জয়ী হবে, বাংলাদেশ ঝুঁকে পরবে তাদের দিকেই। এই ভবিষ্যতবানী ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। প্রতিক্রিয়ায় ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ‘প্রেশার গ্রুপ’ দ্বারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ অনুযায়ী বৈদেশিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি হবে ‘জাতীয় সাার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা’। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই মূলনীতির ব্যত্যয় ঘটেছে বহুবার। ভবিষ্যৎ পথ চলায় বাংলাদেশকে অবশ্যই পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা ও ন্যায়পরায়নতার নীতি বিবেচনায় রেখে বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করতে হবে।

মোহাম্মদ শিশির মনির

আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

সঙ্গে

যায়েদ বিন আমজাদ

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়।