নিজস্ব প্রতিবেদক, দিশাডটকমঃ
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম, এজাহারভুক্ত আসামি অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর আরো তিন ধর্ষক অনুরূপ জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার সাইফুল, অর্জুন ও রবিউল তাদের জবানবন্দিতে গৃহবধূকে গাড়িতে ধর্ষণ ও আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলো বলে জানিয়েছেন। এদিকে, শনিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এজাহার নামীয় আসামি তারেক ও মাছুমের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে রাজন, মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুল ও মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন খানম নীলার আদালতে রণি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এরআগে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে দিয়ে রাজন, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুল ইসলামকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস জোর করে খোলা রাখে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যারাতে এক তরুণী গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে নিজস্ব কারে সিলেটের এমসি কলেজের মেইন গেইটের কাছে এসে নামেন। এসময় ছাত্রলীগের ৬ ক্যাডার তাদের আটকে রেখে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে মারধরের পর স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকরা গাড়ি আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা তাদের দিয়ে তা নিয়ে যেতে বলে ধর্ষিতা তরুণী স্বামীকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। রাতেই এ ঘটনা জানাজানি হলে সর্বত্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা করা হয়েছে শাহপরান থানায়। একই মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।