এনামুল হক:
করোনা কাল সহ নানা ঘটনা প্রবাহের ২০২০ সাল এর শেষে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সিলেট বিভাগ সহ দেশে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হচ্ছে শীঘ্রই। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগের তৃনমূলে শুরু হয়েছে নির্বাচনী তৎপরতা। মাঠে নেমে পড়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন আগামী ডিসেম্বরেই দেশে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, ১৬ পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীতে ফেব্রুয়ারীতে। মেয়াদ শেষের আগেই ডিসেম্বরে এ পৌরসভা গুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে প্রস্ততি শুরু হয়েছে। সিলেটের নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনের অনুমতি পেলেই তারা পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্ততি শুরু করবেন। ডিসেম্বরে নির্বাচনের আয়োজন হলে নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১৯টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে সময় না হওয়া এবং আইনি জটিলতার কারণে তিনটি পৌরসভার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব হবে না।
তবে ১৬ পৌরসভার নির্বাচন আয়োজন করতে কোনো সমস্যা নেই। ইতিমধ্যে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। এই পৌরসভার মধ্যে রয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ, হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ, ছাতক, জগন্নাথপুর, দিরাই এবং মৌলভীবাজারের মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও বড়লেখা।
এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় সিলেটের বিয়ানীবাজার এবং মামলাজনিত কারণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে তিনটি পৌরসভাকে বাদ দিয়েই সিলেটে নির্বাচনের আয়োজন করতে হচ্ছে।
সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে সিইসি নুরুল হুদা, বলেন ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যতদূর সম্ভব ইভিএম পদ্ধতিতে হবে। তবে নির্বাচন কয় ধাপে হবে তা নিশ্চিত নয়, ৪/৫ ধাপে হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৫৯টি নির্বাচন উপযোগী বলে ইসিকে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে যেসব পৌরসভার মেয়াদ আগামী জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনী কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘আজকে আমরা লম্বা মিটিং করেছি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলোর নির্বাচন যেগুলো ডিউ হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা করা, সিডিউল তৈরি করা এবং রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে যেগুলো আমাদের করনীয়, সে কাজগুলো আমরা ঠিক করেছি। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, ওই নির্বাচনগুলো হয়তো আমরা করে ফেলবো হয়তো ডিসেম্বরের শেষের দিকে। সেরকম প্রস্ততি আমাদের আছে।’
তিনি বলেন, ‘পৌরসভার নির্বাচনগুলো ইভিএমে হবে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচনের সবগুলোতে ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছু সংখ্যক করা যেতে পারে, এনআইডির ডিজি যদি পৌরসভার নির্বাচনগুলো ঠিক করার পরে যদি মনে করেন, তার ক্যাপাসিটি আছে মনে হলে হয়তো কিছু নির্বাচন ইভিএমে করবে।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আশা করি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের অনুমান, ৫টি ধাপে নির্বাচনগুলো শেষ করতে পারবো। তবে এখনও আমরা ঠিক করিনি কয় ধাপে নির্বাচনগুলো করা হবে।’