সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় ২০জন হয়েছেন।
রোববার (৪ মে) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার এলাকার বোয়াল চত্বরে উপজেলাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটনখাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’
কারেন্টের বাজারের মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে আসলে বাধা দেয় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এসময় লাঠি–সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। পরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। এসময় সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। বিএনপির সমর্থকদের এমন কর্মকাণ্ডে নিন্দার ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মোবারক হোসেন বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিলের শুরুর দিকেই বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুর রহমানের ইন্দনে বিএনপির সমর্থিত একদল স্বার্থবাদী মানুষ ছাত্র–জনতার ওপর আঘাত হানে। এতে আহত হয় শামীম আহমদ, জনি মিয়া, আলাল মিয়া, নুরুল আলম সাগর, আব্দুর রফসহ আরো ২০ জন। আহতদের বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা বাধা দিয়েছে। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।’
রিপোর্ট লেখার সময় এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মফিজুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সকাল থেকে জেলা সদরে একটা মিটিংয়ে আছি। তবে শুনেছি কিছু লোক বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে মানববন্ধন করতে চেয়েছিল। সচেতন এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেছে। এ ধরনের বিষয়গুলো আমি শুনেছি।’