শাল্লা প্রতিনিধি-
সুনামগঞ্জের শাল্লায় যুবদলের নব-গঠিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে ২২জন সদস্য অব্যাহতি নিয়েছেন। সোমবার ৩ আগষ্ট দুপুর ১২টায় গঠিত কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর ২২ জনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করা হয়। কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করে অব্যহতি নেয়া সদস্যরা হলেন- ব্রজেশ রঞ্জন চৌধুরী, মাহবুব হোসেন শিশূ, জুবায়ের আহম্মেদ ডালিম, মোঃ সাইফুর রহমান, রিয়াজুল হাসান, মানবেন্দ্র দাস, হিমাদ্রী সরকার, আমির হোসেন, জিয়াউর রহমান, মহিবুর রহমান, জিয়াউল হক, শাহানুর ইসলাম, মাসুদ আহমেদ, শিশু দাস, আল-আমিন, মহিতোষ বৈষ্ণব, সহিদুল মিয়া, লুৎফুর মিয়া, তোফাজ্জল হক, আমীর হোসেন, সোহেল মিয়া ও শফিকুর রহমান।
জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর সৈকত ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রসিদ কয়েস স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে শাল্লা উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এরপর থেকেই শাল্লা উপজেলা যুবদলের মধ্যে তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উক্ত কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতারা।
পরে নব-গঠিত কমিটির ৩১ সদস্যের মধ্যে ২২জন সদস্য একমত পোষন করে উক্ত কমিটি বাতিল করে নতুনভাবে কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর আবেদন জানানো হয়। আবেদন সূত্রে জানা যায়, নব-গঠিত কমিটির অনেকেই উক্ত আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্পর্কে অবগত নন। তাছাড়া কমিটিতে সিনিয়র ও জুনিয়রের কোনোরূপ ক্রম অনুসরণ করা হয়নি। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা স্থান পেয়েছেন তারা আদৌ যুবদলের সাথে সম্পৃক্ত নন।
এবিষয়ে নব-গঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি নেয়া যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন শিশু বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে যুবদলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আছি। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে সিনিয়রদেরকে গুরুত্ব না দেয়ায় পাশাপাশি অনেক জুনিয়র কর্মীগণকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করায় আমি অব্যাহতি নিচ্ছি।
এব্যাপারে নব-গঠিত কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নিয়া যুবদল নেতা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজপথে আন্দোলন করে আসছেন তাদেরকে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখায় এবং সিনিয়র নেতাদের উপেক্ষা করে জুনিয়রদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করায় আজ আমরা ২২জন সদস্য সম্মিলিতভাবে উক্ত কমিটি থেকে অব্যাহতিসহ জেলা কমিটিকে অনুলিপি দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর আবেদন জানিয়েছি।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠিনক সম্পাদক জুবায়ের আহম্মেদ ডালিম বলেন, আমি গত সংসদ সদস্য নির্বাচনকালে দলের কাজ করতে গিয়ে কারাবরণ করি। কিন্তু উক্ত কমিটি গঠনে আমাকে অবহিত না করে সাধারণ সদস্য পদ দেয়ায় আমি আজ অব্যাহতি নিই।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্রজেশ রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন যুবদলের রাজনীতির সাথে রাজনীতি করে অনেক নির্যাতিত হয়েছি, দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছি। কিন্তু অনেক অনেক জুনিয়রদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমাকে সাধারণ সদস্য করায় আমি উক্ত কমিটি থেকে অব্যহতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর সৈকতের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অব্যহতিপত্র আমি এখনো পাইনি, তাই এবিষয়ে আমি এখন কোনোরূপ মন্তব্য করতে পারি না। তবে একসাথে ২২জন সদস্যের অব্যহতি সত্যিই অবিশ্বাস্য।