বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ৭২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি। পরদিন তার পৈতৃক ভিটা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে (আনোয়ারপুর) বাসভবনের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাহ করা হয়।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৪৫ সালের ৫ মে সুনামগঞ্জের আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিতের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থি রাজনীতির মধ্য দিয়ে।
তিনি সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলে তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
তার মৃত্যুর পর সুনামগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা সাংসদ নির্বাচিত হন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পরে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পিকিং ও মস্কো ধারায় ভাগ হলে সুরঞ্জিত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন অংশে যোগ দেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে ন্যাপ থেকে বিজয়ী হন। পরে ন্যাপের ভাঙনের পর গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।
দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও প্রয়াত এই নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে- তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রার্থনা, স্মরণসভা প্রভৃতি। গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ এলাকা দিরাই পৌর শহরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার সকাল ১০টায় শোকর্যালি, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।