হিমাদ্রি শেখর ভদ্র
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের নায়ক সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের সন্তান নাসুম আহমেদ। তার স্পিন ঘূর্ণিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে পরাজিত করে টাইগাররা
ম্যাচের শুরু থেকে স্পিনারদের দাপুটে বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ১৩১ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হয় ১০৮ রানে। এরই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শক্তির জানান দেয় বাংলাদেশ।
২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে—এমন ব্যর্থতা থেকে বেরোনোর প্রথম ধাপে শক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে হারাল টাইগাররা। তাও আবার মাত্র ১৩১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে। তবে জয়ের পুরো কৃতিত্বই পাবেন বোলাররা। যেখানে নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এদিকে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছেন নাসুম আহমেদ। বিশেষ করে, সিলেট বিভাগের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাসুম আহমেদকে আজকের ম্যাচের জয়ের নায়ক উল্লেখ্য করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে।
জানা গেছে, নাসুম আহমেদ সুনামগঞ্জের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। সিরিজের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের পক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জের ক্লাব প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলেছেন।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাসুম আহমেদ বেশ পুরোনো। বাঁহাতি স্পিনে নিয়মিত পারফর্ম করেন তিনি। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও এগিয়ে আসেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। নিজেকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন নাসুম। অনেক পরিশ্রমের পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন নাসুম।
প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাবের কর্মকর্তা ওয়াসিম বখত জানান, ২০১৩ সালে নাসুম আহমেদ আমাদের প্যারামাউন্ড ক্রিকেট ক্লাবের প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলোয়ার ছিলেন। সে একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের খবর।
সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের যুগ্ম সস্পাদক চৌধুরী আহমদ মুজতবা রাজী বলেন, নাসুম একজন পরিশ্রমী খেলোয়াড়। তিনি বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে সফলতার সাথে খেলে আজ এ অবস্থায় এসেছেন। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সন্তান হলেও তার বেড়ে উঠা সিলেট শহরেই। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সম্ভব এটি বর্তমান তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি বার্তা হিসেবে থাকবে। সুনামগঞ্জের ছেলে নাসুম জাতীয় দলে সুনামের সাথে খেলছে বিষয়টি নিঃসন্দেহে গৌরবের। সে আরও সামনে এগিয়ে যাক এ দোয়া রইল।