নিজেস্ব প্রতিবেদক ঃঃ– উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি নদীর পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দখিনা বাতাস আর অকালে পানি বাড়ায় হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। গত এক সপ্তাহের অধিক সময় থেকে দিনরাতে হু হু করে ফুলে ফেঁপে উঠছে নদী। গেল তিন দিনে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর দিরাই শাল্লা জামালগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি হাওরের দশ সহস্রাধিক হেক্টর জমির বোরোধান অকাল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি, হাওর তলিয়ে যাওয়া,একের পর এক হাওর রক্ষা বাঁধে ফাটলের খবরে কৃষকের উৎকন্ঠার শেষ নেই। ঝুকিপূর্ণ এসব বাঁধ মেরামতের কাজে দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে কৃষকেরা যখন হাঁপিয়ে উঠছেন, ঠিক তখন সরকারি দলের সুবিধভোগী হাওররক্ষা বাধের কাজের দায়িত্বে থাকা পিআইসির লোকেরা গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে বিক্ষুব্ধ করে তুলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদেরকে । বুধবার সকালে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হুরামন্দির হাওরে একটি বাঁধের ফাটল অংশে মেরামত কাজ করতে গিয়ে প্রকল্প কমিটির( পি আই সি)সেক্রেটারিকে ধরে বেধরক মারপিট করে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা । স্থানীয়রা জানান বুধবার সকালে হুরামন্দির হাওরের ৫৫ নং পি আই সির বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় আশপাশের চার গ্রামের মানুষ মসজিদে মাইকিং করে মেরামতের কাজে লিপ্ত হয়। এসময় ঐ পি আই সির সেক্রেটারি চানপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে শামসুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। আহত শামসুল ইসলাম দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে শামসুলের কথা বলে জানা যায়, রাতে বাঁধে কিছু জায়গায় ফাটল ধরে, সকালে আমরা মাইকিং করে মেরামতের কাজে যাই।এ সময় লোকজন আমাদেরকে বলে টাকা দিয়ে শ্রমিক নিয়ে মেরামত কাজ করতে। তখন আমি বলেছিলাম মাত্র দুইটি বিল পেয়েছি বর্তমানে আমাদের হাতে কোন টাকা নেই। এসময় আটবাড়ি গ্রামের ছুফি মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন আমার উপর হামলা চালায়।
হামলা মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু বলেন,হুরামন্দির হাওরের একটি বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ মেরামতের কাজে জড়ো হয়। বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় কৃষকেরা পি আই সির সেক্রেটারি শামসুলকে মারধর করে।খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আহত শামসুলকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। বাঁধের ফাটল অংশ মেরামতের কাজে আছেন এলাকার মানুষজন ।