স্টাফ রিপোর্টার:
‘লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ী ভালা নায় আমার/ কি ঘর বানাইমু আমি, শূন্যের-ই মাঝার/ ভালা করি ঘর বানাইয়া, কয় দিন থাকমু আর/ আয়না দিয়া চাইয়া দেখি, পাকনা চুল আমার।’ মরমী এই অমর গানের রচয়িতার ৯৭তম প্রয়ান দিবস আজ।
ডিসেম্বরেই জন্ম যার ডিসেম্বরেই মরণ, তিনিই মরমী কবি হাসন। যাকে বলা হয় হাসন রাজা। তার প্রকৃত নাম দেওয়ান হাসন রাজা। দেওয়ান হাসন রাজার জন্ম ২১ ডিসেম্বর, ১৮৫৪। মৃত্যু ৬ ডিসেম্বর, ১৯২২। হাসন রাজা জমিদার পরিবারের সন্তান। তার পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাসন রাজা তার দ্বিতীয় পুত্র। মায়ের নাম হুরমত জাহান। আর বাংলা সনের হিসাবে জন্ম ৭ পৌষ, ১২৬১। মৃত্যু ২২ অগ্রহায়ণ, ১৩২৯। সুনামগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী সুরমা নদীর তীরে তেঘরিয়া গ্রামেই জন্ম।
হাসন রাজা একজন মরমী কবি এবং বাউলশিল্পী। বাংলার দর্শনচেতনার সঙ্গে সংগীতের এক অসামান্য সংযোগ ঘটিয়েছে এই মরমী সাধনা। অনেকেই মনে করেন লালন শাহ্ এই মরমী সাধনার প্রধান পথিকৃৎ। আর লালনের পর যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নামটি আসে, তা হাসন রাজার।
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়ায় এলাকায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি। এ বাড়িটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। কালোত্তীর্ণ এ সাধকের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লেখা কবিতার ও গানের পান্ডুলিপি আজও বহু দর্শনার্থীদের আবেগ আপ্লুত করে। আজকে অনেকটা নিভৃতেই এই মরমী সাধকের মৃত্যু দিবসে নেই কোন আয়োজন। নিভৃতেই কেটে যাচ্ছে দিনটি।
হাসনরাজা ট্রাস্টের সভাপতি এমদাদ রাজা চৌধুরী, জানালেন জন্ম ও মৃত্যু একি মাসে তাই আমরা এক সাথেই দুটি দিবস পালন করবো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন,মরমী কবি হাসনরাজার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী একই মাসে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২১ ডিসেম্বর আমরা জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্মরনসভা করবো।