শাল্লা প্রতিনিধিঃ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)শাল্লা শাখা কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, হাওরে যে পানি আসছে এটা পুরনো কোনো গর্ত; বিশেষ করে এটা হতে পারে কাঁকড়ার বা ইঁদুরের গর্ত সেটা দিয়ে পানি ঢুকেছে। এখনো কোনো বাঁধ ভেঙে পানি ঢোকেনি।সময় টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তবে এলাকাবাসী এবং জনপ্রতিনিধিরা বলছেন ভিন্ন কথা।
এলাকাবাসী জানান, ২১ থেকে ২২ লাখ টাকার পিআইসিতে সেখানে কাজ করা হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকার। যার কারণে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না।
৪ নং শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাত্তার মিয়া বলেন, অনেকের জমি নেই তারা পিআইসির মালিক হচ্ছেন, আর যাদের জমি আছে তারা বঞ্চিত।
৩নং বাহারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন,১০ লক্ষ টাকা দিলে ৫ টি পিআইসি পাওয়া যায়।এসওর সাথে অনিয়ম নিয়ে আমার বাকবিতন্ডিকতা হয়ছে এজন্য আমাকে মিথ্যা মাললা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে এসও।
স্থানীয়রা বলেন যেখানে জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতির কথা স্বীকার করছেন সেখানে কি পরিমান দুর্ণীতি হয়েছে তা আর বলা লাগে না।
তাদের মতে অনিয়ম দুর্নীতির কারনেই আজকে বাধের এই অবস্থা। তারা তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দাবি করেন।
অনিয়মের অভিযোগের কথা স্বীকার করে তদন্ত চলছে বলে জানান শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব।
তিনি বলেন, বাঁধের ওখানে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিছু বিষয় তদন্ত করে প্রমাণিত হয়নি; আর কিছু বিষয়ে তদন্ত চলছে। জেলায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এটা তদন্ত করে সঠিক বিষয় জানা যাবে।