
দিরাই প্রতিনিধি ঃ-জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন একই পরিবারের মহিলাসহ দুই জন।তারা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় আরো ৬/৭ জন আহত হন।গত বৃহস্পতিবার সকালে দিরাই উপজেলার রফিনগর গ্রামে জামাল উদ্দিনের ছেলে হেলাল মিয়া ও শওকত আলীর ছেলে আহাম্মদ মিয়ার লোকজনের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটে। বৈঠকে হামলা ও ছুরিকাঘাতে আহতের খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ২১ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে সালিসি ব্যক্তিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, রফিনগর গ্রামের মরজুদ আলী ওরফে গুছাই মিয়ার নিকট থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে বাড়ির পিছনের একটুকরো জায়গা খরিদ করে দখলে আছেন।গত ৬/৭ মাস আগে পাশের বাড়ির আহাম্মদ মিয়ার আত্মীয় সুরত আলীর ছেলে সাদির মিয়া এই জায়গাটি নিজের দাবী করলে দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়।এ নিয়ে গ্রামের সালিসিগন বৈঠক করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সীমানা পিলার দিয়ে মীমাংসা করেন। গত ২ রা মে হেলাল মিয়ার লোকজন মীমাংসিত জায়গায় খড়ের গম্বুজ দিতে গেলে আহাম্মদ মিয়ার লোকজন বাধা নিষেধ করে।বিষয়টি নিয়ে সালিসি ব্যক্তিরা আবারও ৪ঠা মে সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা মাঠে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ আহাম্মদ মিয়ার লোকজন উত্তেজিত হয়ে হেলাল মিয়ার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ছুরি নিয়ে হেলাল মিয়ার ভাই দেলোয়ার(২৫)সহ তার লোকজনকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।মুহূর্তে শান্ত বৈঠকটি রক্তাক্ত হওয়ার দৃশ্য দেখে সালিসি ব্যক্তিগন হতভম্ব হয়ে যান।অভিযোগ বলা হয় এরপর হামলাকারীরা মাদ্রাসার পাশেই হেলাল মিয়ার বসত ঘরে গিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় ঘরে থাকা হেলালের ভাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ঝরনা বেগম(২৫) আবিদুলের স্ত্রী লুতফা বেগম (৩০) জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসিনা বেগম(২৬) সহ অনেকেই আহত হন। হামলাকারীরা নগদ টাকা লুটপাট ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলে অভিযোগে বলা হয়। এব্যপারে জানতে চাইলে সালিসি রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রামের বাসিন্দা রেজুয়ান হোসেন খান বলেন, বিরোধীয় জায়গাটি নিয়ে দুপক্ষের মারামারির ঘটনায় মাদ্রাসা মাঠে সালিশ বৈঠকে কোন এক কথায় উত্তেজিত হয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক।একই কথা বলে গ্রামের সুরজালাল মিয়া,তাজুল ইসলাম, আনন্দ খালেদসহ অন্তত দশজন সালিসি ব্যক্তি এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশি অভিযানের পর থেকে আহাম্মদ মিয়াসহ তার লোকজন পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। দিরাই থানার এস আই আমির হোসেন বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহাম্মদের ছেলে মুকিত মিয়া সহ তিনজনকে আটক করা হয়।দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, সালিসি বৈঠকে হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।





