নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেছেন, দূখি মানুষের মূখে হাসি ফুটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। জাতির পিতার দুটি পপুলার ডায়ালগ ছিল। একটি হল দেশের দূখি মানুষের মূখে হাসি ফুটানো অপরটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। এজন্য জাতির পিতা ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ১৪ বছরের মতো জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় এসে তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ইশতেহারে বলেছিলেন আমরা ক্ষমতায় আসলে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে।ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। তিনি বলেন আমরা দেখতে পাচ্ছি ১০/১২ বছরের মাথায় বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সকলে মিলে নিজস্ব জায়গা থেকে সততার সহিত অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই এই দুস্থ অসহায় মানুষসহ সকলের কল্যান সাধিত হবে।একটি সত্যিকারের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তিনি বলেন অসহায় দরিদ্রদের কল্যান ও শিক্ষা উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমাজের পিছিয়ে থাকা এতিম, অসহায়, নিপিড়ীত মানুষের সন্তানের উন্নত শিক্ষার পথ সুগম করতে খুবই আন্তরিক। তিনি বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জামিল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আপনার মত সমাজসেবক ও এতিম দরদী লোকদের আমাদের সমাজে বড়ই প্রয়োজন। আমি যে সময় যেখানেই থাকি বাংলাদেশ ফিইমেল একাডেমির সাথে থাকবো। এতিমদের কল্যাণে আমার চেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে । তিনি সমাজের বিত্তবানসহ সকলকে নিজ অবস্থান থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান । শনিবার সকাল ১১ টায় হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরশহরের সুজানগরে অবস্থিত বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমিতে ‘বেসরকারি এতিমখানার সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে করনীয় শীর্ষক’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন । বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি দিরাই ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা ঢাকার যৌথ উদ্যোগে একাডেমির কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। স্থানীয় সাংবাদিক সামছুল ইসলাম সরদার ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা ঢাকার শিক্ষক মতিয়ার রহমানের যৌথ পরিচালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি জামিল চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আব্দুল করিম, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বিপিএম, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী।, বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী,দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, ইমরান হোসাইন,প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী মিড ওয়াইফ খাদিজা আক্তার প্রমূখ। আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা ও বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির শিক্ষক শিক্ষার্থী। পরে দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।এছাড়া প্রধান অতিথির ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির জন্য পাঁচশো শীতের কম্বল ও ক্রীড়া সামগ্রী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা। এর আগে সকাল দশটায় অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমিতে এসে পৌঁছালে একাডেমির শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত হন।তারা একাডেমির বিভিন্ন সুসজ্জিত ভবন ও ছাত্রীদের মনমাতানো শারীরিক কসরত উপভোগ করেন।
এদিকে কর্মশালা মধ্যান্ন ভোজন শেষে বিকেল ৩ টায় অতিথিগন দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়িতে গিয়ে সমাধি ও তার কীর্তি পরিদর্শন করেন।