দিরাইয়ে মটর সাইকেল চালক ইকবাল খুনের ঘটনায় ১ জন আটক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ইকবাল হোসেন (৩৬) মটর সাইকেল চালক খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মইন উদ্দিন ওরফে ভান্ডারী (৩৫)। গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাত আটটায় পাথারিয়া থেকে দিরাই থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ভান্ডারী মটর সাইকেল চালক ইকবাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানিয়েছে তার পরিবারের লোকজন। সেই ভান্ডারীর সাথেই ইকবাল দুই তিন দিন বাড়ির বাহিরে থাকতো বলে জানা যায়।পুলিশ জানিয়েছে আটকের পর ভান্ডারীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিরাই থানায় রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির ভাসামন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।সে দিরাই পৌরসভার দাউদ পুর এলাকার ছটাই উল্লার ছেলে। দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রাম ও মধুরাপুরের মধ্যবর্তী লাউরানজানী ব্রীজের পাশে সোমা নদীতে থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে দিরাই থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল দুই টার পরে ইকবাল হোসেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানায় প্রায়ই দুই তিন দিন সে বাড়ির বাহির থাকতো। এটা মনে করেই তার খোঁজ করেনি।পরদিন তার বড় ভাই একবার খোঁজ নিতে মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা আর তেমন খোঁজ নেয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমানদীতে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে দিরাই থানার পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে ভাসমান মৃতদেহটি উদ্ধারের পর সাথে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে তার পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ।
দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল আলম দিশা ডটকম কে জানান, মটর সাইকেল চালক ইকবালের লাশ উদ্ধারের পর সে খুন হয়েছে বলে সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মইন উদ্দিন ওরফে ভান্ডারী নামে ইকবালের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে আটক করা হয়েছে।