নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ-সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর মামার বাড়িতেই পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ।
তার নাম সোহাগ মিয়া ১০) । সে দিরাই পৌর এলাকার শুকুর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র ও শাল্লা উপজেলার শশারকান্দা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে রোববার বেলা আড়াইটায় দিরাই থানা পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মামার বাড়ির পেছনের লাকড়ি ঘর থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে। শুক্রবার বিকাল ৩টার পর সে মামার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
শনিবার সোহাগের মা রোকেনা বেগম দিরাই থানায় নিখোঁজ সংবাদ দিয়ে সাধারন ডায়রি করেন।
দিরাই থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মজলিশপুরের মামার বাসায় মা রোকেনার সাথে তিন মাস ধরে বসবাস করে আসছে। এর আগে
সে তার মার দ্বিতীয় স্বামী শিপনের সাথে ঢাকায় থাকতো। সম্প্রতি শিপনের সাথে তার মায়ের বিরোধ দেখা দেয়ায় তারা মজলিশপুর মামার বাড়ি থাকছে।
সোহাগের মামা রিপন মিয়া জানান শুক্রবার বিকালে মাঠে খেলা করার কথা বলে বের
হয়ে সে আর বাসায় ফেরেনি। আমরা সোহাগকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। পরদিন শনিবার তার মা রোকেনা বেগম দিরাই থানায় লিখিতভাবে নিখোঁজ সংবাদ জানিয়ে সাধারণ ডায়রী করেন।
রোববার বেলা ২টার দিকে
পরিবারের লোকজন ঘরের বারান্দার থালাবদ্ধ রোমে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহাগের লাশ
দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা যচ্ছে না ।
স্থানীয়রা জানান, এই শিশুটি
গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যাবে তা কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না। এদিকে সোহাগ নিখোঁজের দিন থেকে তার মা রোকেনা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী
শিপনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহাগের মা।