শাল্লা প্রতিনিধি :
নিয়ম অনুযায়ী সময় অতিক্রম করছে, তবুও সুনামগঞ্জের শাল্লায় কয়েকটি বাঁধে এখনো শুরু হচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ‘ফসল রক্ষা বাঁধ’ নির্মাণকাজ। পওর বিভাগ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও কোনো কর্ণপাত হচ্ছে না পিআইসির সদস্যদের। এদিকে কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সময় মতো কাজ শেষ না হলে আবারো ২০১৭ সালের মতো হাওরডুবির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাওরপাড়ের কৃষক। শুধু তাই নয় হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ নিয়েও চলছে ধীরগতি। ঢিলেঢালে কাজ শুরু হওয়াতে হুমকির মুখে রয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি।
জানা গেছে, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু ও আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই কাজ শেষ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত ছায়ার হাওরের পিআইসি নং ৬১, এছাড়াও পিআইসি নং ৫ উপ-প্রকল্পসহ আরো কয়েকটি বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওরাঞ্চলে ইতোমধ্যে বোরো ধানের চাষাবাদ শেষ হয়ে গেছে। উপজেলার সকবক’টি হাওরে পানি সময়মতো কমেছে। কিন্তু এখনো বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকরা চিন্তায় রয়েছেন। তাদের বোরো ফসল অকালবন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে অতি শীঘ্রই কাজ শুরু করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শাল্লা উপজেলা পাউবো অফিস জানিয়েছেন, এবার শাল্লা উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক আহমদ হোসেন জানান, দু,তিন বছর পর পর হাওরে ফসল ডুবির ঘটনা ঘটে। গত,তিনবছর ধরে হাওর তলিয়ে না গেলেও এবছর বন্যায় হাওর তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সময় মত বাঁধের কাজ শেষ না হলে সরকারে প্রচেষ্টা ও বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা ভেস্থে যাবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করার জন্য জরুরী সভা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন। সভায় কাজ শুরু না হওয়া সকল প্রকল্পের সভাপতিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পওর বিভাগের শাখা কর্মকর্তাকে। অন্যথায় তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে হুশিয়ারী প্রদান করেন।
শাল্লা উপজেলা শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি প্রককৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ওয়ার্ক ওর্ডার দেয়ার সাথে সাথেই কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এখনো এখনো কয়েকটি পিআইসি কাজ শুরু করেননি। বার বার কাজ শুরু করার কথা বললেও পিআইসির সদস্যরা কোনো নির্দেশনা মানছেন না। তাই সরজমিন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।