শাল্লায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ তিন ধনাঢ্য ব্যক্তি কর্তৃক সনাতন ধর্মাবলম্বীর সম্পত্তি জাল দলিল সৃজন করে দখল চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ১১ মার্চ )বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রঘুনাথপুর গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ বক্তব্য পাঠ করেন করুনা সিন্ধু দাস। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে পাঠ করে জানান, শাল্লা উপজেলার অবহেলিত ও দরিদ্র পীড়িত গ্রামের নাম রঘুনাথপুর। এ গ্রামের ৭০০ কেদার ধানি জমি রয়েছে। এছাড়া গ্রামবাসী এ জায়গাটিতে ধান শুকানোর খলা, গো-চারন ও খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। গ্রামের অভ্যন্তরে পুর্ব পুরুষের স্থাপিত দেবস্থান আছে যাহা সায়রা গাছতলা নামে পরিচিত। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন গ্রামবাসী। অসহায় এ গ্রামবাসী দুইশত বছর ধরে এসব জায়গা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার সাটিয়াজুরী গ্রামের জমিদার ক্ষিতিশ কর গংরা ৭৫৮ নং খতিয়ানে ও ১৭২০নং দাগের ( বর্তমান আর এস দাগ ২৩৫৫, ২৩৫৬) জায়গাটি তাদের ব্যবহার করার জন্য দখল দেন। এবং গ্রামবাসী সেই ভাবে তাদের সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি এ বিশাল সম্পত্তির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস, মহাদেব দাস ও মিঠু রঞ্জন সরকারের। তারা উপজেলার ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। এ দাগে সরকার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের জন্য ৫টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছেন।ক্ষমতাশীল এসব ব্যক্তিরা আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজেও বাধা প্রদান করছেন বলে লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে পাঠ করে শুনান করুনা সিন্ধু দাস।এমনকি জায়গা ছেড়ে দিতে গ্রামবাসীর উপর হুমকি প্রদান করে আসছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। গত ১ মার্চ গ্রামবাসীর পক্ষে করুনা সিন্ধু দাস বাদী হয়ে আদালতে একটি স্বত্ত্ব-মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত বিবাদিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাসের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জমিদারের উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেছি। সরকারকে খাজনাও দিয়ে আসছি। তারা মুলত আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য এমন অভিযোগ আনছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হরলাল দাস, মধুসুধন সরকার, উপানন্দ দাস।