নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- একুশে পদক প্রাপ্ত বাউল স¤্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার । এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। বাউল শাহ আবদুল করিম স্মৃতি পরিষদ জন্মস্থান উজান ধল গ্রামের বাড়িতে তাঁর কর্ম ও সৃষ্টি নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান ও করিমপুত্র শাহ নুর জালাল জানান, বাবার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও করিমগীতির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ অতিথিবৃন্দ। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।
শুধু আধ্মাতিকতায় নয় জাগতিক বিষয়ে শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টির দখলদারিত্ব কোনো অংশেই কম নয়। রাষ্ট্র, সমাজ এবং হাওরাঞ্চলের বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের দুঃখ- দুর্দশা, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ আর অধিকারের কথা তার গানে ফুটে উঠেছে। গানের মাধ্যমে সহজ সরল ভাষা আর হৃদয়কাড়া সুরের মাধ্যমে তুলে নিয়ে এসে বাউল স¤্রাট শাহ আবদুল করিম স্থান করে নিয়েছেন অসংখ্য সংগীত প্রেমির অন্তরে। তার সৃষ্টির সবকিছুই যেনো মানুষের জন্য মানুষের কল্যাণের জন্য উৎসর্গকৃত। মানুষ হয়ে মানুষকে কষ্ট না দেওয়াটাই মানুষের বড় ধর্ম এ সত্যই শাহ আবদুল করিম লেখার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ছিলেন শোষকের বিরুদ্ধে হুংকার, দিয়েছেন বিপ্ল¬বের ডাক। প্রেম দিয়ে শত্রুকে জয় করা এবং সম্প্রীতির শিক্ষা দিয়েছেন শাহ আবদুল করিম। সমাজ, রাষ্ট্র এবং জাগতিক বিষয়ে উন্নয়ন সাধন করতে হলে প্রয়োজন মানুষের চিন্তার উন্নয়ন। উল্লেখ্য ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী দিরাইয়ের উজানধল গ্রামে সাধারণ এক কৃষক পরিবারে জন্ম নেন বাউল স¤্রাট শাহ আবদুল করিম।আর ২০০৯ সালে ১২ই সেপ্টেম্বর এই গুণী সাধকের মৃত্যু হয় ।