সংবাদটি পড়া হয়েছে: ২,১০৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কামারগাঁও, নারকিলা, চিকাডুবি চুরাপল্লী হিসেবে খ্যাত।এর মধ্যে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটার তালিকায় পেশা চুর লিখে আলোচনায় আসে উপজেলার কামারগাঁও।এই তিন গ্রামের মানুষের পেশাই ছিল চুরি- ডাকাতি করা আর চুলাই মদ বিক্রি করা।প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা এই পেশায় জরিত।তাদের মধ্যে নেই শিক্ষার কোন আলো।এযেন এক অন্ধকার জগতের বাসিন্তা তারা।
আর এদের জন্য যেন আর্শিবাদ হয়ে এসেছিলেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ। পহেল জুন যোগদানের পরেই তিনি ঘোষণা দেন ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাল্লা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করবেন।এ অনুয়ায়ী কাজও শুরু করেছেলিন তিনি।অনেকটা লাগাম টেনেছিলেন চুর এবং মাদক ব্যাবসায়ীদের।কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর আগেই তার বদলির আদেশে অনেকটা হতাশ করেছে শাল্লার মানুষকে।
যোগদানের পরেই তিনি কৌশলে মিশতে শুরু করেন চুরাপল্লীখ্যাত কামারগাঁও, নারকিলা, চিকাডুবি গ্রামের মানুষের সাথে।তিনি তাদের আলোর পথ দেখান।পরামর্শ দেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে।ওসি মোরশেদের কথায় তারা স্বেচ্ছায় আত্মসর্মপন করে।জমা দেওয়া হয় মাদক তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম।শপথ করে প্রতিজ্ঞা করে আর কোন দিন চুরি করবেনা এবং মাদক বিক্রি করবে না।ওসি মোরশেদ তাদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন।এমনকি টাকার অভাবে আদালতে হাজিরা দিতে না পারা মাদক,চুরি -ডাকাতি মামলার আসামিদের নিজের পকেটের টাকা দিয়ে হাজির করানোর ব্যাবস্থা করে দেন।শতভাগ মাদক মুক্ত ঘোষনা করা হয় কামারগাঁও,নারকিলা, চিকাডুবি গ্রামকে।সস্তি ফিরে আসে শাল্লা উপজেলার মানুষের মাঝে।মাদক মুক্তের পর শিক্ষার আলো ছড়াতে শিশুদের হাতে বই তুলে দেন।এরই মাঝে ওসি মোরশেদের বদলি হতাশ করেছে তাদের।
ওসি মোরশেদের এমন কার্যক্রম সাড়া ফেলেছিল জেলা জুড়ে।প্রসংশায় ভাসছিলেন তিনি।
এব্যাপারে চিকাডুবি, কামারগাঁও নারকিলা গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছে।তবে তারা ওসি মোরশেদের দেখানো পথে চলবেন এবং ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন বলে জানান।
এব্যাপারে ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন,চুর এবং মাদক ব্যাবসায়িদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আমি সর্বাত্ব চেষ্টা করেছি। আর কিছু দিন সময় পেলে আরো ভালো হত।হবে অন্য জায়গায় চলে গেলেও তাদের সাথে আসার যোগাযোগ থাকবে এবং তাদের সাহায্য সহযোগিতা করব।