ডেস্ক নিউজঃ
হাওর উৎসবের তারিখ পেছানো হতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় এমন আলোচনাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসব কমিটির সদস্য সচিব ডা. আবুল কালাম চৌধুরী।
আবুল কালাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত হাওর উৎসব নিয়ে বঙ্গভবনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উৎসব কমিটির আহ্বায়ক সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা, যুগ্ম আহ্বায়ক সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ মো. তৌফিক, সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্, সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহনেওয়াজ, সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহ্রিয়ার, শাল্লার সন্তান অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল্লা আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব কমিটির সদস্য সচিব সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল কালাম চৌধুরী জানান, সভায় ২৮, ২৯ ও ৩০ মার্চ অনুষ্ঠান করা যাবে কি-না, এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী দুজনেই বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে এতো বড় উৎসব করা ঠিক হবে না। গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করতে সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। এই অবস্থায় আরো ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ১৫ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠানের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত. হাওরের চার জেলার মধ্যে তিন জেলার মধ্যবর্তী স্থান শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামে ৩ দিনের হাওর উৎসব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । হাওরবাসী’র গর্ব কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের সন্তান মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ২৮ মার্চ বেলা আড়াইটায় উৎসব উদ্বোধন করার কথা ছিল।
হাওরের একেবারে তলানির উপজেলা শাল্লায় এই আয়োজনকে সফল করার জন্য প্রাথমিক কাজও শুরু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে দিরাই-শাল্লা হয়ে অথবা আজমিরিগঞ্জ হয়ে গাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে এলজিইডি। ডুবন্ত সড়ককে সংস্কার করা হচ্ছে। মাটির সড়ককে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।