বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ছয় নম্বর আসামি রাব্বি আকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাব্বিকে গ্রেফতারের কথা জানালেও তাকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তা জানায়নি পুলিশ।
রাব্বি আকন বরগুনা সদর উপজেলার কেওরাবুনিয়া এলাকার মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাব্বি আকনকে গ্রেফতারের কথা জানান পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাব্বি আকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতারের সময় ও স্থান আমরা জানাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এছাড়া এ মামলার এজহারভুক্ত ছয়জন এবং সন্দেহভাজন সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
এর আগে ৯ জুলাই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
১ জুলাই আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
৪ জুলাই রিফাত হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এদিকে, এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্য রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাতদিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিফাত ফরাজী।
এছাড়া এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ পাঁচদিনের এবং রাতুল সিকদার ও সাইমুন তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।